নীতিশ বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার) :
কক্সবাজার পৌরসভার পর্যটন এলাকা বর্হিভুত সরকারি খাস জায়গায় বসবাসরত লক্ষাধিক মানুষের ভূমি বন্দোবস্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র আরো একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে।
৯ জুন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত সুপারিশ করেছিলেন। ওই সময় মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচবি মঈনউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ৩১.০০.০০০০.০৪২.৪১.১২৩.২১.৮১ স্বারকে একখানা পত্র মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল,২৯৬, কক্সবাজার-০৩(সদর-রামু) বরাবরে প্রেরণ করেছেন। পত্রের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে- কক্সবাজার পৌরসভার পর্যটন এলাকা বর্হিভুত লাইট হাউসের পূর্বপাশ থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত এলাকার খাস জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাসরত ব্যক্তিদের অনুকুলে উক্তজমি বন্দোবস্ত প্রদান। সূত্র (১) ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর দপ্তরের ইউ. ও. নোট নং- ৩১.০০.০০০০.০০১.০২.২১-২৬০ তারিখ ০৯/০৬/২০২১। (২) মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল,২৯৬, কক্সবাজার-০৩(সদর-রামু)-এর ডি.ও. পত্র।
আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র প্রেরিত পত্রের চিত্রপ্রতিলিপি উল্লেখ করে ভূমি মন্ত্রনালয় উল্লেখ করেন যে, কক্সবাজার পৌরসভার পর্যটন এলাকা বর্হিভুত ফাতেরঘোনা, সাত্তারঘোনা, বাঘঘোনা, দক্ষিণ পাহাড়তলী, বাদশাঘোনা, ইসলামপুর, হালিমাপাড়া, ইসলামাবাদ ও ঘোনার পাড়া (লাইট হাউজের পূর্ব থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত) এলাকার খাসজমিতে কতিপয় ব্যক্তি/ পরিবার বিধি বহির্ভুতভাবে ঘর-বাড়ি (পাকা ভবনসহ) নির্মাণ পূর্বক দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। উক্ত স্থানে বসবাসরত ব্যক্তিদের অনুকুলে বর্ণিত খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুবিধার্থে আলোচ্য এলাকা সম্পর্কে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় পৃথক কালিতে চিহ্নিত স্কেচম্যাপ ও ভিডিওচিত্রসহ আলোচ্য জমির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মতামতসহ একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য ৩১.০০.০০০০.০৪২.৪১.১২৩.২১.৮১/১(৫) স্বারকে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কক্সবাজারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, উল্লেখিত এলাকায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে লক্ষাধিক মানুষ বিধি বহির্ভুতভাবে বসবাস করে আসছেন। এ এলাকায় হাজার হাজার দোতলা ও চারতলা ভবন এবং কক্সবাজার পৌরসভার মাধ্যমে রাস্তা ও ড্রেইন নির্মিত হয়েছে। মাঝে মধ্যে দুদক ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিলে হাজার হাজার জনতা রাস্তায় নেমে পড়ে এবং মানবেতর জীবন যাপন করে। লক্ষাধিক মানুষের পূনর্বাসনে কক্সবাজারে অন্য কোন বিকল্প জমিও নাই। এ এলাকার জনগণের দাবি পঞ্চাশ বছর ধরে খাস জমিতে বসবাসরত ব্যক্তিদের বসতবাড়ি বন্দোবস্তি দিলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে অন্যদিকে জনস্বার্থও সংরক্ষিত হবে। মানবিক ও যৌক্তিক দিক বিবেচনা করে উপরোক্ত এলাকায় বসবাসরত ব্যক্তিদের বসতভিটা বন্দোবস্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল উদ্যোগ নেন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ভুমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীও উক্ত এলাকাসমুহ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।