বার্তা পরিবেশকঃ
উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার থাইংখালী স্টেশনে বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদের নেতৃত্বে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী স্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পালংখালী ইউনিয়নের পশ্চিম থাইংখালী এলাকার বাসিন্দা ভূক্তভোগী সোলতান আহমদ ফকিরের ছেলে রবিউল বশর।

এসময় রবিউল বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক লাগোয়া উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী স্টেশনে তার বাবা সোলতান আহমদ ফকির পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৭০ শতক জায়গা রয়েছে। যার আরএস দাগ-৮১২/৩৭৫ ও আরএস খতিয়ান নম্বর-৫৩৮ এবং বিএস দাগ-৫০৭/২৭৪ ও বিএস খতিয়ান নম্বর-৪১৩। উক্ত জায়গা নিজেদের মালিকানা দাবি করে জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার মৃত মোক্তারুল জলিলের ছেলে ফখর উদ্দিন, মিছবাহ উদ্দিন ও বেলাল উদ্দিন।

“ এ নিয়ে আমার বাবা সোলতান আহমদ ফকির বাদী হয়ে উক্ত জায়গা জবরদখল চেষ্টাকারিদের বিরুদ্ধে বিগত ১৯৯৮ সালে একটি মামলা দায়ের করেন। যেটির নম্বর-১০৩/৯৮। এতে আমার বাবার পক্ষে পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়ায় বিগত ২০০১ সালে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এক অপর আপিল মামলা দায়ের করেন। যেটির নম্বর ১০৮/২০০১। এতে আদাল তার বাবার পক্ষে ৭০ শতক জায়গার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করেন। ”

এ ভূক্তভোগী বলেন, “ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ফখর উদ্দিন, মিছবাহ উদ্দিন ও বেলাল উদ্দিনের পক্ষে বিগত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন। যেটির নম্বর ১৫১৩/২০২০। পরে আমার বাবা রিভিশন মামলার অভিযোগ সম্পর্কে আদালতে জবাবও প্রদান করেন। যেটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে। ”

রবিউল বলেন, এরপরও তার বাবা সোলতান আহমদ ফকিরের মালিকানাধীন জায়গা তৃতীয় আরেকটি পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল মামলার বিবাদীরা। এ নিয়ে তিনি ( সোলতান আহমদ ফকির ) চলতি বছরের গত ২৩ মে হাইকোর্টে একটি সিভিল রিভিশন আবেদন করেন। এতে আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে বিরোধীয় জায়গায় অবৈধ অনুপ্রবেশসহ কোন ধরণের কার্যক্রম না করার জন্য এবং স্থিতিশীল অবস্থায় বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, উচ্চ আদালতের এই আদেশ অমান্য করে মামলার বিবাদীরা জায়গাটি জবরদখলের জন্য কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদের নেতৃত্বে একটি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে। বর্তমানে চক্রটির আলী আহমদসহ জনৈক দানু মিয়া, মমতাজ মিয়া, তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিরোধীয় জায়গায় সন্ত্রাসীদের পাহারায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এতে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের।

অভিযোগে রবিউল জানান, জায়গার মালিকানার বিরোধকে কেন্দ্র করে আলী আহমদের নেতৃত্বে জবরদখলকারিা তাকে (রবিউল) নানাভাবে হুমকী,ধমকী দিয়ে আসছে। তিনিসহ ভাইদের ইয়াবাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীকে ধরিয়ে দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর পাশাপাশি জানে মেরে ফেলার হুমকী অব্যাহত রেখেথছে। বর্তমানে জবরদখলকারিরা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে পালংখালীতে রাম রাজত্ব অব্যাহত রেখেছে।

এ ব্যাপারে গত ৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।