আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও:
শ্বাশুড়ি ও ৪ বছর বয়সি শিশু ননদকে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে পুত্রবধূ হালিমা আক্তার।
৯ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামাবাদের দক্ষিণ খোদাইবাড়ি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
শ্বাশুড়ি চেতন হলেও শিশু ননদ আছিয়াকে অচেতন অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভোলা সদরের চরপাংগাশিয়া এলাকার জালাল আহমদ মাতব্বরের ছেলে নুরুল ইসলাম ঈদগাঁও বাসস্টশনে দীর্ঘ অনেক বছর যাবত চটপটি ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভাড়া বাসা নেয় দক্ষিণ খোদাইবাড়ি গ্রামে। সম্প্রতি বড় ছেলে মোহাম্মদ হানিফের জন্য তাদের পৈত্রিক এলাকার সাচরা-বাপতা’র (৫নং ওয়ার্ডের) নুরুল ইসলামের কন্যা হালিমা আক্তারকে বউ হিসেবে ভাড়া বাসায় তুলে।পরে একই ভাড়া বাসায় হানিফ ও হালিমা পৃথক সংসার শুরু করে। গত সপ্তাহে হানিফ নুরুল কবির নামের এক ব্যাবসায়ীর কাজ থেকে ৩ টি বড় ব্যাটারী ভাড়া নিয়ে পরে গোপনে বিক্রি করে ফলে। এ ঘটনায় পিতা নুরুল ইসলাম ছেলে হানিফকে বকাঝকা করলে সে ২ রাত বাসায় ফিরেনি। এরই ফাঁকে ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় ছেলে বউ হালিমা চায়ের সাথে নেশাজাতক ট্যাবলেট মিশিয়ে শ্বাশুড়ি রাবিয়া ও চার বয়সি ছোট ননদ আছিয়াকে খাইয়ে দিলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে।
এ সুযোগে শ্বশুরের ব্যাবসা ও গাড়ী বিক্রির ২ লক্ষ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণ নিয়ে ছেলে বউ উধাও হয়ে যায়।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশী কামালের পরিবারের সদস্য ওই ঘরে প্রবেশ করলে ২ জনকে অসেতন অবস্থায় দেখে চিৎকার করতে শুরু করে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে নুরুল ইসলাম দোকান থেকে বাসায় পৌঁছে স্ত্রী ও মেয়েকে ঈদগাঁওর এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার তাদের ককসবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে রাবিয়ার চেতনা ফিরলে ও শিশু কন্যা আসিয়ার চেতনা এখনো ফিরেনি বলে জানান।
প্রতিবেশীদের ধারণা- এ ঘটনায় ছেলে বউয়ের সাথে ছেলেও জড়িত থাকতে পারে।
রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরের অলংকারে সীস পার্ক নামক একটি হোটেলে অবস্থান করছে বলে নিশ্চিত হয় বলে জানান স্বজনরা।
পলাতক ছেলে ও পুত্রবধূর সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কৃত করবেন বলে জানান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম।