এম.এ আজিজ রাসেল :
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের ৫১টি ইউনিয়নের ৫১৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩০০ কাচা ঘরসহ রাস্তা, কৃষি, মৎস্য ও বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারি সহায়তা হিসেবে ৩০০মেট্রিক টন চাল, ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উপজেলাগুলোকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। পাশাপাশি কিছু বেসরকারি সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকালে শহরের সমিতি পাড়ায় করোনায় কর্মহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ আরও বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে যারা লাইনে দাড়িয়ে ত্রাণ নিতে চাননা তারা জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে ফোন করলে গোপনীয়তা বজায় রেখে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। সর্বোপরি মানুষের বিপদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসন তাদের পাশে আছে। বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্বাস্থ্য সেবা, রাস্তা—ঘাট, কৃষি, মৎস্য, লবণ, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনায় কর্মহীন ও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ। পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে এনে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাদের প্রতিদিন রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, কাউন্সিলর আকতার কামাল, কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিক উল্লাহ কোম্পানি। শুক্রবার দিনব্যাপী খুরুশকুল, ঝিলংজার চান্দের পাড়াসহ অন্যান্য উপজেলায়ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।