নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন জালিয়াপালং মৌজার সোনারপাড়া খেলারমাঠে ২নং বিএস খতিয়ানের ১৬৫ দাগের বনবিভাগের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং সরকারি বনভূমি পুনঃ উদ্ধার চেয়ে ৩ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মোট ১১ জনকে আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

বেলার আইনজীবি সাঈদ আহমদ কবীর স্বাক্ষরিত বেলার আইনি নোটিশটি ডাক যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রধান বনসংরক্ষক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঠিকানায় রোববার ১৮ জুলাই পৌঁছানো হয়। এবং নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট ও বেলার আইনজীবি সাঈদ আহমদ কবীর স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়, উখিয়ার জালিয়াপালং মৌজার ২ নং বিএস খতিয়ানের ১৬৫ দাগের জঙ্গল শ্রেণির ৭.০১ শতক জমি বনভূমির নামে জরীপভূক্ত হয়।

বনবিভাগের অবহেলায় জঙ্গল শ্রেণির সেই জমির অধিকাংশই পরিষ্কার করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি হয়। সেখানে বনবিভাগের একই দাগভূক্ত ৬০ শতক এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ২০ শতক জমিতে সোনারপাড়া খেলারমাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘ ৬০ বছরকাল। কিন্তু সোনারপাড়া খোলারমাঠটি দখল করে বনভূমির জঙ্গল শ্রেণির জমিতে সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেই মাঠ রক্ষার্থে এলাকাবাসী মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করে সরকারের প্রত্যেকটি দপ্তরে অবহিত করেন। এতে কোন প্রতিকার পায়নি তারা।

তাই এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর বিশ্লেষণে বনভূমির জমিটি অধিকাংশ বেদখল হয়ে গেছে এবং নির্বিচারে বনভূমি উজাররোধ, বন বিরুদ্ধ ব্যবহার প্রতিরোধ ও বনভূমির শ্রেণী পরিবতর্ন করে তা দখল প্রতিহত করতে না পারলে বন রক্ষায় সরকারের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি, টেকসই উন্নয়ন ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বাঁধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হয়।

নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ অাইনবিদ সমতি (বেলা) কক্সবাজারের জালিয়াপালং মৌজার বিএস ২ নং খতিয়ানের বনবিভাগের নামীয় ৭.০১ শতক জমিতে বিদ্যমান সকল দখলদার উচ্ছেদপূর্বক তা বনভূমি হিসেবে সংরক্ষণের এবং একই সাথে বনভূমির জঙ্গল শ্রেণীর যে জায়গা আছে সেখানে সবুজ বনায়নের জন্যও জোর দাবি জানানো হয়।