বার্তা পরিবেশক:
মহেশখালীর শাপলাপুর কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বর্ধিত খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি প্রকল্পের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অগোচরেই তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানা যায়। তালিকায় স্বচ্ছল লোকজনকেই অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
শাপলাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আবদুল খালেক চৌধুরী জানিয়েছেন,ডাব্লিউএফপি’র অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে ১৩০১ জনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মাঝে জনপ্রতি ১০৫০ টাকা করে প্রতিমাসে বিতরণ করবে কেয়ার বাংলাদেশ। পরবর্তীতে ব্যবসার জন্য প্রতিজনকে ১৫০০০ টাকা প্রদান করবে। ইতিমধ্যেই দুই মাসের টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল খালেক চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, শাপলাপুর ইউনিয়নে ১৩০১ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হলেও ইউনিয়ন পরিষদের কাউকে অবহিত করা হয়নি। তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারবিরোধী লোকজনকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই মাসের টাকা বিতরণ করা হলেও তাদের নিয়োগকৃত কর্মীরা উপকারভোগীদের কাছ থেকে গোপনে ৫০০ টাকা করে নিয়ে এসেছে। টাকা বিতরণ ও তালিকা করতে প্রতি ২৫ জন উপকারভোগীকে নিয়ে একটি করে অন্তত ৫২টি অভিভাবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে নামকাওয়াস্তে কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করলেও অধিকাংশই সরকারবিরোধী লোকজনকে ওই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে সরকার সমর্থক লোকজন এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

চেয়ারম্যান বলেন, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। যারা ইউনিয়ন পরিষদকে অবজ্ঞা করে গোপনে তালিকা করে যাচ্ছে তা তদন্ত করে গোপন ষড়যন্ত্র বের করা প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের ষড়যন্ত্র আরো দীর্ঘায়িত হবে।

শাপলাপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন অনেক চেষ্টা করেও তালিকায় নাম উঠাতে পারে নি। বিষয়টি বিভিন্ন স্তরে অবহিত করলেও কোন সুফল পায়নি।

শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন কেয়ার বাংলাদেশ যাদের কর্মী নিয়োগ করেছে তাদের মাধ্যমে সরকার বিরোধী একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এতে শাপলাপুর ইউনিয়ন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুরাহা চাই। অন্যতায় শাপলাপুর মানুষ এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে। কেয়ার বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৮ জন কর্মী নিয়োগ করেছে। এদের অধিকাংশই সরকার বিরোধী লোকজন। আরো পাঁচজনকে নিয়োগ করার জন্য ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতেও সরকারবিরোধী লোকজন নেওয়ার চক্রান্ত করছে কেয়ার বাংলাদেশ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যদি অসহায় নেতাকর্মীরা এভাবে বঞ্চিত হয় তাহলে নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। নেতাকর্মীরা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করবে কিন্তু সরকার বিরোধী লোকজন সুবিধা ভোগ করবে এটা কোনোভাবেই নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না।