মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরার সবুজবাগ নিবাসী, বিশিষ্ট ঠিকাদার হারুনর রশীদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ১০ জুলাই জোহরের নামাজের পর কক্সবাজার শহরের হাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় মরহুমের ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা আখতারুজ্জামান বাবু ইমামতি করেন।

জানাজার পূর্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, বিশিষ্ট ঠিকাদার গোলাম কবির, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম. মোকতার আহমদ, ডা. নুরুল আবছার, মরহুমের সন্তান মামুনুর রশীদ মামুন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। করোনা পরিস্থিতির মাঝেও জানাজায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার কল্যান সমিতির সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, এলজিইডি ঠিকাদার কল্যান সমিতির সভাপতি আসাদুল্লাহ আসাদ, কক্সবাজার পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আজাদ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বহু মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে রুমালিয়ার ছরা কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে হারুনর রশীদ’কে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার কল্যান সমিতির সহ সভাপতি হারুনর রশীদ (৫০) শনিবার ১০ জুলাই রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকার শ্যামলীস্থ সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজ এন্ড ইউরোলজিক্যাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি–রাজেউন)। হারুনর রশীদ মরহুম আলহাজ্ব কলিমুল্লাহ সিকদার ও ছুরত বাহারের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে তার সহধর্মিণী শামসুন্নাহার নিজের দেহ থেকে কিডনি দিয়ে স্বামী হারুনর রশীদের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে হারুনর রশীদের স্বাস্থ্যের আশংকাজনকভাবে অবনতি হলে তাকে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজ এন্ড ইউরোলজিক্যাল হসপিটালে প্রথমে ভর্তি, পরে আইসিইউতে এবং সবশেষে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে হারুনর রশীদ না ফেরার দেশে চলে যান। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঠিকাদার হারুনর রশীদ এর মৃতদেহ ঢাকা থেকে শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরাস্থ সবুজবাগ নিজ বাসভবনে আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।