শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া :

কুতুবদিয়ায় একদিকে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ, অন্যদিকে করোনার জন্য কাজও নেই। এ কারণে জেলেদের চরম কষ্টে চলছে জীবনযাপন। সংসারের খরচ বহন, সুদের হার বৃদ্ধি ও সুদ-আসল টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত এ উপজেলার জেলেরা।

আয় রোজগারহীন ভাবে দীর্ঘদিন বেকার সময় কাটানোর ফলে অনেকের ঘরে চুলায় এখন আগুন জ্বলছে না। এমন অবস্থায় বঙ্গোপসাগরে ঘেরা কুতুবদিয়া দ্বীপের জেলে পল্লীগুলোতে হাহাকার চলছে।

জানা যায়, মৎস্য অধিদপ্তরের নিবন্ধিত প্রতি জেলেকে ৬৫ দিনের জন্য ৮৪ কেজি করে চাউল দেয়া হয়। তার মধ্যে ৫০ কেজি চাউল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের চাউল দিয়ে তাদের সংসার চলে না।

এছাড়া নিবন্ধিত জেলেরা চাউল পায়। বাকী অনিবন্ধিত জেলেরা চাউল পাই না। তবে তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।

এই বিষয়ে স্থানীয় রফিক মাঝি বলেন, কঠোর লকডাউন ও ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষেধ থাকার কারণে বেকারত্ব জীবনযাপন এবং সংসারের খরচ ও সুদি মহলের সুদ-আসল পরিশোধের জন্য চাপের মুখে থাকলেও করার কিছু নেই। মাছ ধরা বন্ধ, সংসার চালাবো কিভাবে? সরকার যে সহায়তা দেয় তাও সামান্য।

এই ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, কুতুবদিয়ায় সর্বমোট জেলে ১৯ হাজার ৪শত ১৮ জন।

এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে ৮ হাজার ৪শত ৫৯ জন। অনিবন্ধিত জেলে ১০ হাজার ৯শত ৫৯ জন তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা প্রক্রিয়া চলছে।

সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় সরকার ৬৫ দিনের জন্য প্রতি জেলেদের জন্য মোট ৮৪ কেজি করে চাউল দেন। ইতিমধ্যেই প্রতি জেলেদের ৫০ কেজি চাউল দেয়া হয়েছে। বাকী চাউলগুলো শীঘ্রই দেয়া হবে।

এছাড়া জেলেদের জন্য আর কোন নতুন করে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার নির্দেশনা এখনও পায়নি বলে জানান তিনি।