গত ২ জুলাই কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তাসহ কয়েকটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত’পাহাড়তলীতে স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন’ শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
উক্ত সংবাদে আমি ও আমার ৪ ভাই এবং শাশুর শাশুড়ি সহ শশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, যা রূপকথার কল্পের কাহিনী ছাড়া আর কিছু না।সংবাদে আমার ভাইকে ইয়াবার মতো একটি ঘৃণিত ও ভয়ানক মাদকের সাথে সম্পৃক্ত আছে বলে প্রকাশ করা হয়েছে এবং আরো উল্লেখ করা হয়েছে সোনিয়া আক্তারকে আমরা সবাই মিলে শারীরিক নির্যাতন করেছি,তা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। আমরা এই ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মূলত সোনিয়া আকতার একজন লোভী ও খারাপ প্রকৃতির মেয়ে,সে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল,বিভিন্ন ছেলেদের সাথে মোবাইলে ভিডিও কল বা সরাসরি দেখা করে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।এইসব অপকর্মের বিষয় সোনিয়ার শশুরশাশুড়ি সহ আমি জানতে পেরে তাকে নিষেধ করি,এরপর থেকে সোনিয়া আকতার ও ভাই ফাহিম সহ তার বাপের বাড়ির লোকজন আমার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র শুরু করে,এবং বিভিন্ন সময় তুচ্ছ বিষয়ে নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া সহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুরে বাজারের টাকাকে কেন্দ্র করে সোনিয়া আকতার এই বলে হুমকি দেয়,আমাকে নাকি মিথ্যা মাদক মামলা ও রাতের অন্ধকারে আমার রুমে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করবে। সে ইতোপূর্বেও থানায় আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ঘরে পুলিশ এনে হয়রানি করেছে,পরে পুলিশ ঘটনার সত্যতা না পেয়ে দুংখ প্রকাশ করে।
আমি কোন উপায়ন্তর না পেয়ে মিথ্যা মামলা ও প্রাণ রক্ষার্থে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করি।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ দুপক্ষকে থানায় উপস্থিত হতে বলে, এবং সোনিয়া আকতারকে এইধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।
তারপরও সোনিয়া আকতার থেমে নেই, আমার উপর শুরু করে নানান হয়রানি ও উৎপাত, গত কিছুদিন আগেও সে আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দেয়,পুলিশ অভিযোগের বিষয় ঘরে তদন্তে আসলে পুলিশের সামনে সোনিয়া আকতার ও তার ভাই ফাহিম সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে মারধর করে,য়ার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষীত আছে।এমনকি দুজনকে থানায় মীমাংসা কারার জন্য ডাকলেও আমি উপস্থিত হলেও সে উপস্থিত হয়নি।সোনিয়া আকতার স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরও কথা শুনেনা,চলাফেরা করে বেপরোয়া ভাবে।
এই থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, সংবাদটি জঘন্য মিথ্যাচার ও বানোয়াট। আমরা দেশের সচেতন ও আইন মান্যকারী নাগরিক।পরিশেষে এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী,
১।জোসনা আক্তার,
২।আলী আকবর,
৩।নাসির উদ্দিন,
৪।মানিক সহ অন্যান্যরা,
সাং,পাহাড়তলী ৭ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।