বার্তা পরিবেশক : দুবাইয়ে কক্সবাজার প্রবাসীর ১৬ লাখ টাকা আত্মসাত করে এক প্রতারক  লাপাত্তা রয়েছে। প্রতারকের নাম রবিউল আজম । তিনি ফটিকছড়ির বাসিন্দা। তাকে হন্যে হয়ে খুজছে কক্সবাজারের রামু ধলিরছড়ার মঈনুদ্দিন। তাকে ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

প্রতারনার শিকার দুবাই প্রবাসী মইনুদ্দীন জানান, দুবাইয়ে ব্যবসার সুবাধে রবিউল আজম, পিতা: মোহাম্মদ ইদ্রিস, নুরুল্লাহ মুন্সীর বাড়ি, দৌলতপুর, ৭ নং ওয়ার্ড, নাজিরহাট পৌরসভা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম- আমার পরিচিত হন। এ পরিচিতির সুবাধে রবিউল আজম গত ২৫ এপ্রিল ২০২১ ইংরেজী তারিখে আমার থেকে ধার  হিসেবে ৯৩ হাজার দেরহাম(AED) (বাংলাদেশী হিসাবে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা) গ্রহণ করে। রবিউল টাকা গ্রহণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমাকে হাওলাদ হিসেবে গৃহীত সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। তবে এদিন রাতের মধ্যে নগদে ২৫ হাজার দেরহাম পরিশোধ করে রবিউল।
পরে ২৬ এপ্রিল উক্ত রবিউল আজম দুবাইয়ে অবস্থানরত তার আপন বড় ভাই খোরশেদ, ফটিকছড়ির মুহাম্মদ ফারুক ও মহেশখালী মাতারবাড়ি এলাকার আব্দুল গণি রনি নামে এক ব্যক্তিসহ মোট তিনজনের সাক্ষীতে নিম্নোক্ত শর্ত অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি ৬৭৫০৫ দেরহাম পরিশোধ করার অঙ্গীকারে ১০০ টাকা মূল্যের ৩ টি স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা করা হয়। একই সাথে রবিউলের দুইটি পাসপোর্ট এবং তার বন্ধু লিটন দাশের পাসপোর্ট সহ মোট তিনটি পাসপোর্ট আমার কাছে জামানত দেয়। যা এখনো আমার কাছে জব্দ আছে। সেদিন মূলত তার বড়ভাই খোরশেদ দায়িত্ব নিয়ে চুক্তিনামার মাধ্যমে তাকে আমার থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছিল।
চুক্তিনামার শর্ত হলো-আমার থেকে হাওলাদ হিসেবে গৃহীত বাকি ৬৭৫০৫ দেরহাম(AED) (বাংলাদেশী ১৬০৬৫০০ হাজার টাকা) ২৮ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ৫০০০ দেরহাম করে ১৪ কিস্তিতে ৩ মে ২০২১ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করবে।
কিন্তু অদ্যাবধি উক্ত রবিউল উল্লিখিত টাকা পরিশোধ করেনি। টাকা চাইলে আজ দিবে কাল দিবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেয়। ইতোমধ্যে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দুবাই অ্যাম্বাসী ও পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দিয়েছি। একই সাথে বিষয়টি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক রবিউলের এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর সহ বেশ কয়েকজনকে জানিয়েছি। এছাড়া আমি বিষয়টি রবিউলের মা, ভাই, বউসহ শ্বশুরালয়েও জানিয়েছি। তারা রবিউলের প্রতারণার দায় নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
বাস্তবিক অর্থে, রবিউল ওইদিন টাকা হাওলাদ পাওয়ার জন্য আমার নিকট নানা কাকুতি মিনতি এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে টাকা পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করে। সরল মনে বিশ্বাস করে আমার ব্যবসার টাকা থেকে সেদিন উক্ত টাকা হাওলাত দিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে একজন পেশাদার টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক তা জানতাম না। বর্তমানে সে টাকা ফেরত না পেয়ে আমি ব্যবসা পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। সর্বশেষ উপায়ান্তর না দেখে বিষয়টি আমি অনলাইন সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে বাধ্য হলাম।

ব্যবসায়ি মঈনুদ্দীন প্রবাসী ভাইদের প্রতি প্রতারক রবিউল আজমের সন্ধান দিতে অনুরোধ করেছেন। তার ঠিকানা নিম্নে প্রদান করা হল।

মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন ,পিতা: সিরাজুল হক
গ্রাম: সিকদার পাড়া, ডাকঘর: ধলিরছড়া, থানা/উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ের একজন ব্যবসায়ী।
দোকান নং- ০৯, অল হ্যালো বিজ আল ইয়াসের, ডেরা দুবাই।