সংবাদদাতা:
যুব রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী মোঃ খোরশেদ আলম বলেছেন, যুব স্বেচ্ছাসেবকেরাই হলো ইউনিটের প্রাণ শক্তি। একমাত্র তাদের সক্রিয় সহযোগীতা ও অংশগ্রহণই পারে একটি ইউনিটের কার্যক্রমের বিকাশ ঘটাতে। যুব সদস্যদের পক্ষেই সম্ভব জেলা থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে।
তিনি আরো বলেন রেড ক্রিসেন্ট এর প্রধান কাজই হলো সরকারের পাশাপাশি দুর্দশা কবলিত মানুষকে সহযোগিতা করা, বর্তমানে কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট পূর্বের তুলনায় শতভাগ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার সাথে ইউনিটের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এবং ইউনিটের যুবস্বেচ্ছাসেবকদেরকে সোসাইটির মৌলিক নীতিমালার আলোকে একটি প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক বহিনী হিসেবে গড়ে তুলছে।
রবিবার (২৭ জুন) কলাতলি হোটেল বীচ ওয়ে প্রশিক্ষন কক্ষে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব সদস্যদের দুই দিনব্যাপী মনস্তাত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন।
সকাল ৯ টা থেকে ২ দিনব্যাপী কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ২১ জন যুব স্বেচ্ছাসেবকের মনস্তাত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ড্যানিশ রেড ক্রসের সহযোগিতায় কলাতলি হোটেল বীচওয়েতে শুরু হয়।
কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, কক্সবাজার জেলার অধিক ঝুকিপূর্ণ কমিউনিটিতে,কমিউনিটি পর্যায়ে দুর্যোগ জনিত বিরুপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকরাী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে মানবিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিভিন্ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারন সহ কোন অনাকাংক্ষিত দূর্ঘটনায় পরিবারের লোক জন নিখোজ হওয়া, নিকটাত্বীয় হারিয়ে যাওয় বা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুবরনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার যে মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করে ঐ সকল পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি মনস্তাত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করনের নিমিত্তে এই প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছা সেবকগন স্ব-স্ব কমিউনিটি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা ও কমিউনিটির লোকজনের সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশিক্ষনলব্দ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে এবং যে কোন দুর্যোগ (বিশেষত: বন্যা, অগ্নিকান্ড, পাহাড় ধ্বস জনিত) পরিস্থিতিতে জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসা ও মনস্তাত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসা পরিসেবার কাজে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়াও সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের পাশাপাশি মনস্তাত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাও প্রদান করবেন।
উক্ত প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পিত্তিরাজ বড়ুয়া, প্রজেক্ট ম্যানেজার, মেন্টাল হেলথ এন্ড সাইকো স্যোসাল সার্পোট, সাইফুল ইসলাম, পিএসএস ম্যানেজার, তারনিজ সুলতানা সুইটি ও সৌরভ বৈদ্য, পিএসএস অফিসার।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর প্রশিক্ষণ পূর্ব এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির পরিচালক এবং পিএমও ও এমআরআরও প্রকল্পের হেড অব অফিস এম.এ.হালীম। তিনি তার বক্তব্যে মনস্তাত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের অবহিত করেন এবং দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের শুভ উদ্ধোধনী ঘোষনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্নদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইউনিট কর্মকর্তা আজরু উদ্দিন সাফ্দার, ডেনিশ রেড ক্রস ডেলিগেট লিয়া জ্যারিকেল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিটের যুব প্রধান, যুব স্বেচ্ছাসেবক সহ প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।