মো. রাসেল ইসলাম, বেনাপোল:
মানুষের ভিড় বাড়তে থাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যশোরের শার্শার সাতমাইল পশুর হাট।

রবিবার (২৭ জুন) সকালে হাট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এর আগে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলার গবাদিপশুর হাট বন্ধ করা হলেও দেশের দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় আর বেশি মানুষের সমাগম সাতমাইল পশুর হাটে গরু বেচাকেনা চলছিল। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় নানান মহলে ক্ষোভ ছিল। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও এ হাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে গবাদিপশু বেচাকেনা করা হয়।

জানা যায়, সাতমাইল পশুর হাটটি থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৬ কোটি টাকা রাজস্ব পেত। রাস্তায় মহাসড়কের ওপর হাট বসিয়ে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ও স্বাস্থ্যবিধি অনিয়ম হলেও প্রশাসনের নজরদারি ছিল কম। দেশে করোনার এ ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলার পশুর হাট বন্ধ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলবে এ শর্তে সাতমাইল হাট পরিচালনার অনুমতি বহাল রাখে প্রশাসন। কিন্তু হাটে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা সম্ভব হচ্ছিল না। এতে স্থানীয় মানুষ করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে কয়েক জন মারা যায়।

এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে অবশেষে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ পশুর হাটটি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, সীমান্তে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় আপাতত এক সপ্তাহের জন্য সাতমাইল পশুর হাট বন্ধ থাকবে। তবে কবে নাগাদ আবার খোলা হতে পারে এ বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।