সিবিএন ডেস্ক
দলে অনুপ্রবেশ বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও একাধিকবার ব্যবস্থা নিতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কোনওভাবেই অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছিল না। বরং নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে নেতারা যে যার মতো অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগিতা করে দলে ভেড়াচ্ছেন। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্বও হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। এসব সমস্যা দূর করতেই নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতারা। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানিয়েছেন, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঢাকায় জমা দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে।

এগুলো যাচাই করে কেন্দ্র চিহ্নিত করবে- কারা অনুপ্রবেশকারী এবং কাকে দলে জায়গা দেওয়া হবে, কাকে বাইরে রাখা হবে। শনিবার (২৬ জুন) ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বৈঠকে বসে এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান দুই নেতা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দলে অনুপ্রবেশ বিতর্ক দূর করতে এবং অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে দলের সর্বস্তরের কমিটি ঢাকায় জমা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, দলের সর্বস্তরের কমিটি ঢাকায় বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ কারা দলের জন্য ক্ষতিকর, সেটা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই ঠিক করবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।

আজম বলেন, ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আজ শনিবার (২৬ জুন) বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৭ জেলায় দ্রুত দলের সর্বস্তরের সম্মেলন শেষ করা। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মোট ২১ জন। তাদের ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক চার কমিটিতেই থাকবেন।

মির্জা আজম বলেন, ‘আমরা দ্রুত সম্মেলন করবো। এতেই অনুপ্রবেশকারীরা বাদ পড়বে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অপর সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, দলের সর্বস্তরের কমিটি ঢাকায় জমা দিতে দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হবে।