জাহেদ হোসেন:
-কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তর্গত ঝিলংজা ইউনিয়ন এর ১(এক) নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এবং পর্যটন এলাকার প্রবেশদ্বার টার্মিনাল গোলচত্বর এলাকার পাশের গ্রাম পূর্ব লার পাড়া। ১৯৬৩ সনের বন্যা কবলিত এলাকা চকরিয়া উপজেলার করিয়ারদিয়া ও উজানটিয়া হতে ভাসমান ১২৩টি পরিবার এনে এই পাড়াটিতে পুনর্বাসন করেছিলেন তৎকালীন মহকুমা জেলা প্রশাসক জনাব হারুন-অর-রশিদ সাহেব।ওই ১২৩ পরিবার হতে বেড়ে বর্তমানে একহাজার পরিবার হয়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস এই পাড়াটিতে।পাকিস্তান সরকার হতে ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়ে তিনি এই পুনর্বাসন করেন।

অক্ষর জ্ঞানহীন পরিবার গুলো এখানে এসে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো।যুগের বদৌলতে নিজেদের ও ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার সুবাদে অনেকের ভাগ্য বদলালেও বদলায়নি এলাকার সড়কের চিত্রগুলো।

চীনের দুঃখ হোয়াংহো হলে পূর্ব লার পাড়ার দুঃখ এই একটি সড়ক।বসতির প্রথম দিকে সড়কটি আরো বৃহৎ থাকলে ও দুপাশের মানুষের লোভাতুর দৃষ্টির কারনে দিন দিন সড়কটির প্রসস্থতা হ্রাস পাচ্ছে।

এই এলাকার মানুষ এই ৫৮ বছরে অনেক চেয়ারম্যান মেম্বার এর পালাবদলের হাতিয়ার হলেও বদলাতে পারেনি একটি সড়কের চিত্র। শুষ্ক মৌসুমে কোনরকম পায়ে হেটে চলাচল উপযোগী থাকলে ও বর্ষা মৌসুমে একদম চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।অত্র এলাকায় প্রভাবশালী কোন লোকজন না থাকায় চেয়ারম্যান মেম্বারদের উন্নয়নের সুদৃষ্টি এই এলাকায় পড়েই না।এলাকার কিছু লোক নিজেদের সচেতন মহল দাবী করলে ও মুলত সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত। ফলে বসতির ৫৮ বছরে এসে ও চলাচলের একমাত্র সড়কটি বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠে।সড়কটির উন্নয়নের জন্য নামকাওয়াস্তে কয়েকবার বরাদ্দ হলেও তা বেশিরভাগ লুটপাটই হয়।বিপদের সময় ফায়ার সার্ভিস বা প্রশাসনের কোন গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারেনা।

এমতাবস্থায় এলাকার জনসাধারন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়,কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি অনুরোধ করেছন যেন পূর্ব লার পাড়ার দুঃখটা মোচন করে চলাচলের একমাত্র সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়।