মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট (RAT) পদ্ধতিতে ২ হাজার ১৬০ জন সন্দেহজনক করোনা রোগীর নমুনা টেস্ট করে ২৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী থেকে ৮ জুন পর্যন্ত পর্যন্ত প্রায় ৫ মাসে এসব করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। বিশ্বস্ত সুত্র সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে নমুনা টেস্টের প্রক্রিয়া কক্সবাজার জেলার মধ্যে শুধুমাত্র জেলা সদর হাসপাতালে চালু রয়েছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটে এই টেস্ট করা যায়। মানবদেহে কোভিড-১৯ এর জীবানু সনাক্তকরণে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী থেকে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই কক্সবাজার জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতেও র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি চালু করার প্রস্তুতি চলছে বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে। এজন্য মঙ্গলবার ৮ জুন জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে নমুনা টেস্টের কীট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হলেও পজেটিভিটির এ সংখ্যা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের গননায় আনা হয়নি। যার ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্যাশ বোর্ডে দেখানো কক্সবাজার জেলার পরিসংখ্যানের সাথে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৫০ জন মতো কম থাকে। মঙ্গলবার ৮ জুন পর্যন্ত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১০ হাজার ৭৮৬ জন কক্সবাজার জেলার নাগরিকদের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়। র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে টেস্ট করে করোনা শনাক্ত হওয়া ২৫০ জনের সংখ্যা যোগ করলে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত করা রোগীর সংখ্যা হয় মোট ১১ হাজার ৩৬ জন।

সুত্র মতে, পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-এ্যাকশন) পদ্ধতিতে করোনা জীবানু শনাক্তকরণে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা সময় লাগে, সেখানে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষায় সময় লাগে মাত্র মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট। কোভিড-১৯ এর জীবানু সনাক্তকরণে এই পদ্ধতিকে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট (Rapid Antigen Tests-RAT) পদ্ধতি বলা হয়।

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ একজন চিকিৎসক বলেছেন, রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার প্রথম সপ্তাহে সাধারণত এই র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করাতে হয়। চট্টগ্রাম বিভাগে কোভিড-১৯ এর ২য় র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট সেন্টার হিসাবে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যা কক্সবাজারে চিকিৎসা ব্যবস্থার আরো এক ধাপ অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেছেন-উক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট সেন্টার হিসাবে চট্টগ্রামের BITID তে এ পদ্ধতি চালু হয়। এজন্য আলাদা র‍্যাপিড টেস্ট কীট ব্যবহার করতে হয়। রোগীকে পাশে রেখেই এই র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে হয় বলে জানান-উক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপতালের বর্হিঃবিভাগ ও অন্ত বিভাগের ভর্তি রোগীদের মধ্যে যাদের করোনা উপসর্গ থাকে, তাদের থেকে স্যাম্পল নিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে টেস্ট রিপোর্ট দেওয়া হয়। র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে পদ্ধতিতে নমুনা টেস্ট করে করোনা শনাক্ত হলে তাদের আর পিসিআর ল্যাবে নমুনা টেস্ট করতে হয়না।