‘মানুষকে বাঁচতে হলে সাগর-মহাসাগরকে বাঁচাতে হবে’

বিশেষ প্রতিবেদক :
‘ক্রমাগত কার্বন নি:সরণ বৃদ্ধির কারণে পৃথিবী উষ্ণ হয়ে ওঠছে। এর ফলস্বরূপ সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্ত হচ্ছে মানুষের জীবন। অথচ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক কার্বন সাগরগুলো শোষণ করে নেয়। আবার সাগর একটি বিশাল অক্সিজেন উৎপাদন কারখানাও। শুধু তাই নয়, মানুষের খাদ্য ও জীবন-জীবিকার এক উল্লেখযোগ্য অংশ আসে সাগর থেকে। তাই মানুষের অস্তিত্বের এই প্রাণভোমরা সাগর-মহাসাগরকে বাঁচাতে হবে।’
‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (০৮ জুন) পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম- সিইএইচআরডিএফ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট পরিবেশ গবেষক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস একথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় শহরতলীর দরিয়ানগরে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া’র সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত ডিভিশন সমন্বয়ক(সমন্বয়) রুহুল আমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পরিবেশে ও অর্থনীতিতে সাগরের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সাগরওয়ালা জাতি কখনও দরিদ্র থাকতে পারে না। অথচ যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে আমরা বঙ্গোপসাগরকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। পারছি না এর পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে।
বক্তারা সাগরকে বাঁচাতে হলে পরিবেশকে প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল দ্রব্যের উপদ্রব মুক্ত করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এসময় সিইএইচআরডিএফ এর ভারপ্রাপ্ত ডিভিশন সমন্বয়ক(সংস্কার) ইয়াসির আরাফাত, ভারপ্রাপ্ত ডিভিশন সমন্বয়ক(সংগঠন) শাহ আবু বক্কর, উপ-সহকারী পরিচালক(পরিবেশ ও মানব সুরক্ষা) আশেক উল্লাহ, সম্পাদক(সংগঠন) মোহাম্মদ শরীফ, সম্পাদক(অর্থ) মোহাম্মদ ইলিয়াস রিয়াদ, কক্সবাজার সদর সার্কেল ডেপুটি সমন্বয়ক মোশাররফ হোসাইন, পানি ফাউন্ডেশন এর সমন্বয়ক নুরুল আবচার, কক্সবাজার সদর পশ্চিম ফোরামের সমন্বয়ক আবু সালেহসহ স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সংগঠনের সদস্যরা দরিয়ানগর সৈকতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে প্রায় ৫শ মিটার সৈকত এলাকাকে পলিথিন বর্জ্য মুক্ত করে।