কফিল উদ্দিন, রামু:

রামুর প্রাণকেন্দ্র চৌমহনী স্টেশনে চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান ও বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে একটি মহল। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল ও যত্রতত্র সিএনজি,টমটম সহ বিভিন্ন যানবাহনের অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। রামু চৌমহনী স্টেশনের চারপাশে ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার কারণে মশা, মাছিসহ রোগের প্রাদুর্ভাব এবং দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ক্রেতা ও সাধারণ পথচারীরা। সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা মেলে চৌমহনী স্টেশনের ৭/৮ টি জায়গায় প্রশাসনের নাগের ডগায় তাদের চোখ ফাকিঁ দিয়ে সিএনজি,টমটম অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন সড়ক অবরোধ করে অবৈধ স্টেশন গড়ে তুলেছে,ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। দুর্ভোগ সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসা ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা। তবে নিরব ভুমিকায় শ্রমিক সংগঠন ও প্রশাসনের কর্তারা।

অপরদিকে চৌমহনীর মুল সড়ক দখল করে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা এখন রাস্তায়,তারা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়কপথ দখল করে বিকিকিনি করতে দেখা যায় বিভিন্ন মৌসুমীফল,যার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে অহেতুক যানজট।

রামুর সচেতনমহল মনে করছেন, কক্সবাজারের ৮ উপজেলা শহরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যস্তময় উপজেলা হচ্ছে রামু। রামুতেই চলমান রয়েছে সরকারের বিভিন্ন মেঘা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। যার দরুন রামুর সড়কপথগুলো সারাক্ষণ যানজট সরব অবস্থান পরিলক্ষন করা যায়। তবে রামুর চৌমহনী স্টেশন একটি সচল স্টেশন যেখানে ২৪/৭ ঘন্টা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি চলাচল করে। তাছাড়া চৌমহনী স্টেশন দিয়ে রামু সেনানিবাস, দুইটি বিজিবি ক্যাম্প,রামু থানা পুলিশ ও বিভিন্ন পর্যটন স্পটের মানুষের চলাচল রয়েছে। কিন্ত সমাজের কিছু লোক প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্টেশন ও সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন পন্য বিকিকিনি করতেছে,যা আমাদের জন্য অত্যন্ত হুমকি স্বরুপ। আমরা রামুবাসী আশা করব প্রশাসন এটির সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এ বিষয়ে গাড়ি মালিক সমিতি পক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক নির্দেশনা পেলে আমরা যথাযথ স্থান হতে গাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা করব এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ি হওয়াতেও যানজট বা বিভিন্ন ছোট বড় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়।

রামু থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কামরুল ইসলাম জানান,আমরা পুর্বেরও রামু চৌমহনী স্টেশনে অভিযান চালিয়েছিলাম এবং সামনেও নির্দিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি পেলে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রণয় চাকমা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং রামুতে বিভিন্ন অপরাধ দমনে ( অবৈধ বালু উত্তোলন,পাহাড় কাটা,বাল্যবিবাহ) জিরু টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আধুনিক প্রযুক্তি ড্রোণ ব্যবহার করে অপরাধ নির্মুলে কাজ করা হচ্ছে।

তবে বলা চলে প্রশাসনের একের পর এক অভিযানে কোনো অবস্থাতেও যাদের সরানো যাচ্ছে না, তাহলে কি বুজা যায় তাদের পেছনে কোনো শক্তিশালী মহলের হাত রয়েছে নাকি অন্য কোনো রহস্য। প্রশ্নটা প্রশ্নই রয়ে গেল!