মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় দিনমজুরের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার আগেই তার স্ত্রী, শশুড়সহ সপরিবার পলাতক রয়েছে।
ডুলাহাজারা রংমহল এলাকার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ময়না তদন্তের ফলাফল জানতে অপেক্ষায় রয়েছে স্থানীয় জনগণ। অপরদিকে ঘটনার পর নিহত আবু হানিফের শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক থাকায় সাধারণ মানুষের সন্দেহের তীর পুরোটাই তাদের দিকে।
এ বিষয়ে স্থানীয় রংমহল ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম উদ্দিন বলেন, নিহত আবু হানিফের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়িতে এখন কেউ নেই। এ বিষয়ে তিনি নিজেও আর কোন মাথাব্যথা করতে চান না বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় ডুলাহাজারা রংমহলে অলি বাপেরজুমের শ্বশুর বাড়ি থেকে দিনমজুর আবু হানিফ (২৬) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, দু বছর আগে খুটাখালী ১নং ওয়ার্ড পাগলিরবীল এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসেমের পুত্র আবু হানিফের সাথে বিয়ে হয় রংমহল এলাকার শফি আলমের কন্যার সাথে। এরপর থেকে শ্বশুর বাড়ির পাশে আলাদা বসতঘর নির্মাণ করে সংসার পাতেন আবু হানিফ। কিন্তু স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত থাকায় সংসারে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগে থাকত বলে জানায় প্রতিবেশীরা। এমনকি এই পরকীয়ার কারণে বিগত সময়ে তাদের একটি সন্তানও নষ্ট করে তার এই স্ত্রী। এ ঘটনার আগের দিনে সন্ধ্যায়ও তুমুল ঝগড়া চলছিল।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের দাবি, আবু হানিফের স্ত্রী, তার পরকীয়া প্রেমিক, শ্বশুরসহ সপরিবারে তাকে হত্যা করেছে। পরে তাদের থাকার ঘরের খাটের উপর নিচু অবস্থানের ফাঁসের অনুপযুক্ত একটি স্থানে লাগিয়ে মৃত্যুর ঘটনা সাজায়। তারা এটি পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্ত উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।