ইমাম খাইর, সিবিএন:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার আশ্রয় কেন্দ্রটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। জোয়ারের পানি উপড়ে পড়ছে ভবনটিতে। ভাঙন ধরেছে আশ্রয় কেন্দ্রের পল্টুনে ও রাস্তাঘাটে। যে কোন সময় সাগরে তলিয়ে যেতে পারে সরকারি সম্পদটি।
সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম নূর আবু মুসা জানান, জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন সেল্টারটি জেলে পল্লীর প্রায় চার হাজারের অধিক মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে একমাত্র আশ্রয়স্থল। কিন্তু ভবনটি নাফনদের বেড়িবাঁধের বাইরে হওয়ায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের ধাক্কায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বর্তমানে ভবনটির নিচতলার বিভিন্ন অংশ নদের পানিতে ধসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থলটিও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে সাথে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, এ স্কুলে চারশতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এটি এখানকার একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভবনগুলো বিলীন হয়ে গেলে এ এলাকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
এদিকে, বুধবার (২৬ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাফ নদের জোয়ারের পানি বিদ্যালয় ভবনে তীব্রবেগে আঘাত হানছে। জোয়ারের ধাক্কায় তিনতল বিশিষ্ট সাইক্লোন সেল্টার ভবনটির নিচতলার নদের অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দিন দিন সে ভাঙন আরো বড় হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের দ্বিতল ও একতলা বিশিষ্ট আরো দুটি ভবনও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই ভবনগুলো নদের গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, ভবনের নিচতলার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এটি রক্ষা করতে হলে নাফনদের অংশে বিদ্যালয় পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবনটি বেড়িবাঁধের বাইরে থাকায় ঝুঁকিতে। এ বিষয়ে গত মাসের উপজেলা প্রশাসনের সভায় আলোচনা উঠেছে। জেলা প্রশাসকের কাছে লিখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এটির জন্য অনেক বড় প্রকল্প দরকার। আপাতত জিও ব্যাগ দিয়ে পানির ধাক্কা সামলানোর পরিকল্পনা রয়েছে।