এম আমান উল্লাহ আমান,টেকনাফ:
টেকনাফে লোকালয়ে বন্য হাতির তান্ডবে টেকনাফ সদরের কয়েকটি গ্রামের মানুষের নির্ঘুম রাত যায়।

২১মে দুপুর নাগাদ সদর ইউনিয়নের সময় হাবিব ছড়া এলাকা থেকে হাতিটি পাহাড় থেকে নেমে সন্ধ্যা ৮টা থেকে ২২মে ভোর ৭টা পর্যন্ত টেকনাফ সদরের ২নং ওয়ার্ডের লেঙ্গুর বিল,হাতিয়ার ঘোনা গ্রামে তান্ডব চালায়।

এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে জানান, হাতিটি পাহাড় থেকে নেমে এলজিইডি প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করে সন্ধ্যা হলে এলাকার বসতবাড়িতে অবস্থান নেয়।

এসময় উত্তর লেঙ্গুর বিল মৌলভী নুরুল ইসলামের প্রায় ২০ শতক পেপে বাগান ২০০ফুট লম্বা খামার বাড়ি ও ৬০০ ফুট লম্বা তারের নেট বাউন্ডারি (ঘেরা) ও বাগানে আম গাছসহ বিভিন্ন ওষুধী,ফলজ গাছ ও বাড়ির আসবাব পত্র ভেঙ্গে প্রায় ২-৩ লাখা টাকা সমপরিমাণ ক্ষতি করে।

এদিকে মকবুল আহমদের পুত্র ফেরদৌসের ঘরবাড়ি ও পানের বরজ এবং জাফর আহমদের পুত্র আজীম আলী ঘরবাড়ি ও মৌলভী ঈসমাইলের পানের বরজ এবং হাছন আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী পানের বরজ ভেঙ্গে তছনছ করে ক্ষতিসাধন করে। যার ফলে অসহায় পরিবারে বসতবাড়ি ও আয় রোজগারের সম্বল পানের বরজের ক্ষতির ফলে পরিবারে নেমে আসবে অভাবের সমস্যা, দেনাদারের দেনা আদায়ে অক্ষমতা ও অনাহারে দিনাকাটাতে হবে বলে জানানা ক্ষতিগ্রস্ত ফেরদৌস ও মোহাম্মদ আলী।

এ ব্যাপারে টেকনাফ রেঞ্জ অফিস কতৃক তড়িৎ কোন পদক্ষেপ দেখা না গেলেও বনবিভাগের অনেকে ঘটনা স্থলে ছিল বলে যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় টেকনাফ সিপিপি ও স্থানীয় বনকর্মী টেকনাফ মডেল থানার একটি টিম হাতির এ তান্ডব থেকে এলাকাবাসীকে নিরাপদে থাকা ও হাতিটি পাহাড়ে উঠিয়ে দিতে অনেক চেষ্টা করেছিল বলে জানাজায়।

হাতির তান্ডবে উপস্থিত সাধারণ মানুষ অভিমত প্রকাশ করে বলেন হাতিটি যখন দুপুরে পাহাড় থেকে নেমে আসে বনবিভাগ আন্তরিক ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এলাকার এ ক্ষতিসাধন কিছুতেই হতনা। এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব অবহেলা,নিস্ক্রিয় নিরব ভূমিকায় এলাকার এত বড় ক্ষতি হয়েছে যোগকরেন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

এছাড়া লেঙ্গুর বিলে চলাচল রাস্তার একটি কালভার্টসহ এলাকার প্রায় ৩০ লক্ষ্য টাকা সমপরিমাণ ক্ষতি করে অবশেষে সকাল ৯-১০টার দিকে পাহাড়ে চলে যায় বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আশেকুর রহমান জানান, হাতি লোকায়ে নেমে আসার খবর পেয়ে হাতিটি পাহাড়ে উঠায় দিতে টেকনাফ মডেল থানার টিমসহ আমাদের বনবিভাগের একটি টিম ভোর চারটা পর্যন্ত কাজ করেছিল। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বনবিভাগ কতৃক সরকারের সহযোগিতা প্রদানের প্রত্যাশা করেন।