মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে আজ বৃহস্পতিবার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত এই ৬৫ দিন সমুদ্রে ট্রলারের মাধ্যমে সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় এ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গেজেটে বলা হয়, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরের এ সময় সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এই ৬৫ দিন সব ধরনের ট্রলারের মাধ্যমে মাছ ও ক্রিস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিস ইত্যাদি) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়।

এদিকে, কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, স্থলেও লকডাউন, সমুদ্রেও লকডাউন। এ অবস্থায় জেলে ও বোট মালিকেরা চরম আর্থিক কষ্টে পড়ে যাবে। তিনি আরো জানান, এরআগে আরো ২২ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিলো।

কক্সবাজার সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার তারাপদ চৌহান বলেছেন, নিবন্ধিত জেলেদের প্রনোদনা হিসাবে সরকারীভাবে জনপ্রতি ৪০ কেজি চাল খাদ্য সহয়তা হিসাবে দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, কক্সবাজার জেলায় ৬৩ হাজার ১৯৩ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এ সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সমুদ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু থাকবে। কোন ফিশিং বোটে অবৈধভাবে আহরিত যত টাকার মাছ পাওয়া যাবে, ফিশিং বোট গুলোকে তত টাকা জরিমানা করা হবে।

অন্যদিকে, জেলেরা বলেছেন, তারা সরকারীভাবে এখনো কোন খাদ্য বা ত্রাণ সহায়তা পায়নি।