মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর (পলিমারি চেইন রিএ্যাকশন) ল্যাবে কোন ছুটি থাকছেনা। প্রতিদিনের ন্যায় ঈদেও সংগৃহীত নমুনা টেস্ট করা হবে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ল্যাবের কোন চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারণ কর্মচারীর ছুটি নাই। সকলেই ঈদুল ফিতরের সময় ল্যাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া আরো জানান, ল্যাবে জমা হওয়া নমুনা এখন ২৪ ঘন্টার মধ্যে টেস্ট করে ফলাফল দেওয়া হচ্ছে। যদি ঈদুল ফিতর বা অন্য কোন সরকারি ছুটির দিনে ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ থাকে, তাহলে ল্যাবে স্যাম্পল জট হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবকে সকল ছুটির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া আরো জানিয়েছেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১২ মে পর্যন্ত সন্দেহজনক করোনা রোগীর নমুনা টেস্ট করা হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১৩৪ জনের। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলার নাগরিকদের নমুনা ৮৪ হাজার ৪০৮ জনের। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নমুনা ৪০ হাজার ৩২৯ জনের। চট্টগ্রাম জেলার নাগরিকদের নমুনা ১১ হাজার ৪৭৫ জনের এবং বান্দরবান জেলার নাগরিকদের নমুনা ৫ হাজার ৯২২ জনের। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা টেস্ট টেস্ট শুরু হয় ২০২০ সালে ২ এপ্রিল হতে। এর আগে ঢাকার মহাখালী আইইডিসিআর এর ল্যাবে কক্সবাজারের নাগরিকদের নমুনা টেস্ট করা হতো। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের কোনার পাড়ার তুমব্রু ‘জিরু পয়েন্ট’ এর আবু সিদ্দিক নামক তাবলীগ ফেরত একজন নাগরিকের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট সর্বপ্রথম ‘পজেটিভ’ করা শনাক্ত হয়। তবে ঢাকার মহাখালী আইইডিসিআর এর ল্যাব থেকে করোনার নমুনা টেস্ট করে চকরিয়ার খুটাখালীর মুসলিমা খাতুন নামক একজন বয়স্ক মহিলার শরীরে কক্সবাজার জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার ৬১ জনের করোনা শনাক্ত :

বৃহস্পতিবার ১৩ মে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৪৭০ জনের নমুনা টেস্ট করে ৬১ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ৪০৯ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়া ৬১ জন করোনা রোগীর মধ্যে আগে আক্রান্ত হওয়া ৩ পুরাতন রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট। বাকীর নতুন শনাক্ত হওয়া ৫৮ রোগীর সকলেই কক্সবাজারের রোগী। তারমধ্যে, ২৯ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৬ জন, উখিয়া উপজেলায় ৮ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৬ জন, চকরিয়া উপজেলায় ২ জন এবং মহেশখালী উপজেলার ৭ জন রোগী রয়েছে।

এনিয়ে, ১৩ মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো-মোট ৮ হাজার ৯ শত ৬৫ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে গত ১২ মে পর্যন্ত জেলায় মৃত্যুবরণ করছে ১ শত জন। তারমধ্যে, ১১ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’১২%।