গত ৭ মে ও ৮মে দৈনিক রূপালী ও কক্সবাজার ৭১ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ টেকনাফের তিন সহোদরের ইয়াবা ব্যবসা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।

আমার বাবা আবুল মনজুর একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় চিংড়ি ব্যবসা করেছেন। এই ব্যবসা করে আমাদের সব ভাইবোনকে শিক্ষিত করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে আমরা দুই ভাই এবং বোন উচ্চ বেতনে চাকরি করছি। চাকরি টাকা দিয়ে আমাদের পুরো পরিবার বেশ সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করছি। অন্যদিকে বর্তমানে আমাদের পরিবারের রয়েছে মুদির দোকান, ইটের ব্যবসা এবং এনজিও সংস্থাকে ভাড়া দেয়া ঘরের ভালো আয়। সব মিলে আল্লাহর রহমতে আমরা খু্ব সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করে যাচ্ছি।
২. প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত রঙ্গীখালী রাস্তার মাথার যে জমির মাটি কাটার কথা বলা হয়েছে তা মূল্যবান জমি। ১৯৮৮ সালে ২৮ জুন তারিখে ১০২৯ নং দলিলমুলে আমার বাবা নজু মিয়া থেকে ক্রয় করেন। সেই থেকে জমিটি আমাদের ভোগ দললে রয়েছে। সে জায়গায় দোকান নির্মাণ করার জন্য মাটি কাটার প্রয়োজন পড়ে। তাই বিধি মতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে অনুমতি নিয়েই মাটি কাটা হয়েছে।

৩. আমার বাবা পৈত্রিক সূত্রেও জমিজমার মালিক হয়েছেন। একই সাথে তিনি তার ব্যবসা থেকে আয় করে জমানো টাকা দিয়ে অন্যান্য ওয়ারিশগন থেকেও তাদের অংশের জমি ক্রয় করেছেন। সেসব জমি বর্তমানে আমাদের ভোগ দখলে রয়েছে। আমার বাবা বর্তমানে সমাজ সর্দারের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, সংবাদে উল্লেখিত কোটি টাকা মূল্যের জমিতে কুনজর পড়েছে এলাকার একটি তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী পরিবারের। জমিটির প্রতি কুনজর থেকে হিংসা ও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওই ইয়াবা পরিবারটি আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সাংবাদিক নামধারী কথিপয় চাঁদাবাজদের আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। ওই চাঁদাবাজরা ওই পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে আমাদের আমাদেরকে ইয়াবা ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়ে জঘন্য মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে।
একইভাবে সংবাদে উল্লেখিত, খুরুশ্কুলে জমি কেনার তথ্যটি ডাহা মিথ্যা। কক্সবাজার শহরের নিউ মার্কেটের যে দোকানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে দোকানটি নুরুল আলম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে মাসিক ভাড়া নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দোকানটি আমাদের ভাগিনা আবদুল্লাহ পরিচালনা করছে। এছাড়া সংবাদে উল্লেখিত কোনো গাড়ি বা বিলাসবহুল বাড়ি আমাদের নেই। কোটি কোটি টাকাার জমি কেনা তথ্যও  ডাহা মিথ্যা।

এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ সর্বস্তরের মানুষ আমাদের পরিবার সম্পর্কে অবগত রয়েছে।

আমিও একজন প্রশিক্ষিত গণমাধ্যমকর্মী। আমি কক্সবাজারের পরিচিত ভিডিও সংবাদমাধ্যম টিটিনএন থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। সংবাদ প্রকাশের নীতিমালা সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা রয়েছে। সে দিক থেকে বলছি, কোনো নীতি-নৈতিকতা না মেনে আমাদের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করার জন্য এই সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে।

পরিশেষে এই জঘন্য মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মিথ্যা সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
সাদ্দাম হোছাইন রাফি
রঙ্গীখালী, হ্নীলা, টেকনাফ।