বিনোদন ডেস্ক:
২০০৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাই পল্লবী। ২৯ বছর বয়েসী এই অভিনেত্রী এখন দক্ষিণ ভারতের ভার্সেটাইল অভিনেত্রী। ন‌্যাচারাল অভিনয়ে তার দারুণ খ‌্যাতি রয়েছে। ২০১৪ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘প্রেমাম’ সিনেমায় প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এতে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন এই অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘ফিদা’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন তিনি।

‘প্রেমাম’ সিনেমায় যখন সাই পল্লবী অভিনয় করেন তখনো তার মুখে অনেক ব্রণ ছিল। এ নিয়ে দারুণ উদ্বিগ্নতায় সময় কেটেছে তার। আর সেই স্মৃতি জন্মদিন (৯ মে) উপলক্ষে নতুন করে সামনে আনলেন সাই পল্লবী।

মুখের ব্রণ সাই পল্লবীকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছিল। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন—‘‘প্রেমাম’ সিনেমায় প্রধান নায়িকা হিসেবে দর্শক আমাকে গ্রহণ করবেন কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। মুখের ব্রণ আমাকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছিল। পর্দায় কেমন দেখাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। যেখানে নিজেকে নিজে পছন্দ করতে পারছিলাম না, সেখানে দর্শক আমাকে কেন পছন্দ করবে? কিন্তু আমি ঝুঁকি নিয়েছিলাম।’’

তবে ‘প্রেমাম’ সিনেমা মুক্তির পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন সাই পল্লবী। তার ভাষায়—‘আমার কণ্ঠ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম না। আমি কখনো ভ্রু প্লাক কিংবা চুল কাটিনি। অন‌্যান‌্য অভিনেত্রীদের মতো আমার মাথার চুল সিল্কি ছিল না। কিন্তু ‘প্রেমাম’ সিনেমা মুক্তির পর এর সাফল‌্য ও প্রশংসা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে। এরপর আমি অনেক কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। অনেক পরিচালক আমাকে প্রথম পরামর্শ দেন, আমি যেন মেকআপ করি। কিন্তু কিছু সময় পরে তারা আমার মেকআপ তুলে ফেলতে বলেন। তাদের ভাষ‌্য—‘মেকআপ ছাড়াই আমাকে সুন্দর লাগে।’ আর এ জন‌্য আমি মেকআপ থেকে দূরে এবং চরিত্রের কাছাকাছি থাকি।’

অনেক প্রসাধনী পণ‌্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন সাই পল্লবী। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করেননি তিনি। সাই পল্লবী বলেন—‘আমি কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন করতে চাই না। সত‌্যিকারের চ‌্যারিটি করতে চাই। পারিশ্রমিক ছাড়া আমি অসংখ‌্য চ‌্যারিটি করেছি, এ কথা অনেকেই জানেন।’

সাই পল্লবী অভিনীত প্রেক্ষাগৃহে সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘এনজিকে’। বর্তমানে তেলেগু ভাষার ‘লাভ স্টোরি’ ও ‘বিরতা পারভাম ১৯৯২’ সিনেমার কাজ এই অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে।