চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বলেছেন, চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সাংবাদিকদেরও জীবনের নিরাপত্তা নেই। তারা কাজ করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হচ্ছে। স্বাধীন দেশে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

 

তিনি আরও বলেন, চকরিয়া পৌর ছাত্রলীগ নেতা আনাছ ও ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যার এখনো বিচার হয়নি। এ বিচার আদৌ হবে কি না কেউ জানে না। বিচার হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে। নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে হলেও প্রতিবাদ জানাতে হবে। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে যে কোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হবে।

 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। সাংবাদিকদের কলম ভেঙে দেওয়া সহজ নয়। হামলা, মামলা ও নির্যাতনের ঘটনার বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগে হাইব্রিট নেতাদের প্রভাব বেড়ে গেছে। এদের কারণে দল প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ! এসব হাইব্রিট নেতাদের প্রতিহত করতে হবে।

 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণে সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিন সাংবাদিকের হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ হামলার নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।

 

১০ মে সোমবার বিকাল তিনটায় পৌরশহরের গ্রীণচিলি হল রুমে প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকের সঞ্চালনায় উক্ত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, চকরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট লুৎফুল কবির, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ তালুকদার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিউল আলম বাহার, আবছার উদ্দিন মাহমুদ, পরিমল বড়–য়া, চকরিয়া থানা অপারেশন অফিসার মোজাম্মেল হোসেনসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।