বার্তা পরিবেশক:

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডে প‌রিবা‌রিক কলহের জের ধ‌রে মোঃ ইউনুছ প্রকাশ লেডুর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন এর ছু‌রিকাঘা‌তে গুরুতর আহত হ‌য়ে হাসপাতালে জীবনের সা‌থে পাঞ্জা লড়ছেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহিদ হোছন এর ছেলে মোঃ জসিম।

এবিষয়ে আহত মোঃ জসিম এর পিতা জাহিদ হোছন বাদী হয়ে ঘাতক জসিম উদ্দিন,পিতা মোঃ ইউনুছ প্রকাশ লেডু, তৌকির আহমদ, পিতা মৃত আমিন, রবি আলম ও বদি আলম,উভয় পিতা মৃত ইউসুফ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,১ নং আসামী মোঃ জসিম উদ্দিনের ছোট ভাই আয়াজ উদ্দিনের সাথে বাদীর মেয়ে রেহেনা আক্তারের সাথে বিবাহ হওয়ার পর থেকে ১ নং আসামী সহ তার ছোট ভাই আয়াজ উদ্দিন পৈত্রিক বসত ঘরে বসবাস করে আসছে।বিয়ের পর থেকে আসামী জসিম উদ্দিন প্রায়সময় ছোট ভাইয়ের বউ রেহেনা আক্তারকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত ও ষড়যন্ত্র করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যার সময় আসামী জসিম উদ্দিন ইয়াবা সেবন করে ছোট ভাইয়ের বউকে গালমন্দ সহ এলোপাতাড়ী মারধর করে ঘরের মালামাল ভাংচুর করে।রেহেনা আক্তার আসামী জসিম এর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বড় ভাই মোঃ জসিমকে কল করে বিষয়টি অবগত করে। সেদিন ৬ টার সময় বোনের কথা শুনে বড় ভাই মোঃ জসিম বোনের শশুরবাড়িতে দেখতে গেলে তৎক্ষণাৎ ২ নং আসামী তৌকির আহমদ রেহেনার ভাই মোঃ জসিমকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে সাথে সাথে তাকে ঝাপটে ধরে রাখে এবং ১ নং আসামি জসিম উদ্দিন তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মোঃ জসিম এর বুকের পাজরে স্বজোরে আঘাত করলে বুকের পাজরের নিচ অংশে লেগে কলিজা ভেদ করে চাকু বেরিয়ে আসে।সঙ্গে সঙ্গে আহত জসিম এর কলিজা পেট থেকে বেরি আসলে সে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে ডলেপড়লে ৩ ও ৪ নং আসামী সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে আহত মোঃ জসিম এর মৃত্যু নিশ্চিত করতে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে বেদড়ক মারধর করে।এসময় রাস্তায় চলাচলরত ও আশপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখেছে।

খবর পেয়ে বাদী জাহিদ হোছন ও তার আত্নীয়-স্বজন মোঃ জসিমকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌছলে আসামীরা তাদের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।তৎক্ষণাৎ আহত মোঃ জসিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

আহত জসিম এর পিতা বলেন,আমার ছেলের অবস্থা সংকটপূর্ণ হওয়ায় তার প্রাণ বাঁচাতে দ্রুত কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে ভর্তি করি।সেখানে আমার ছেলে চিকিৎসা হয় এবং অপারেশনে মাধ্যমে তার কলিজার কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। বর্তমানে আমার ছেলে মোঃ জসিম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

আহত জসিম এর পরিবারের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগীতা কামনা করেছেন।এবং সবাই স‌চেতন হ‌য়ে ঘাতক জসিম উদ্দিন সহ সকল পলাতক আসামীদের দেখা মাত্র নিকটস্থ থানায় খবর দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।