সিবিএন ডেস্ক:
মহামারির সময়ে রাষ্ট্রীয় তথ্য পেতে সমস্যায় পড়ার পরও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক বৈশ্বিক সূচকের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে ইউরোপীয় দেশ নরওয়ে। টানা পঞ্চমবারের মতো এই স্থান ধরে রাখলো দেশটি। সূচকে থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১ তম। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) মঙ্গলবার বার্ষিক এই সূচক প্রকাশ করেছে।

বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০২০ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২০) –এ শীর্ষ পাঁচে সব সময় ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থান থাকলেও এবার তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে। নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও সুইডেনের পর তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টা রিকা। গতবার তালিকার সর্বশেষ দেশ উত্তর কোরিয়া থাকলেও এবার সেখানে স্থান পেয়েছে ইরিত্রিয়া।

সূচকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরএসএফের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংকট এবং লকডাউন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতা বাড়ার পরিমাণ উদ্বেগজনক। অনেক সাংবাদিক, ব্লগার, কার্টুনিস্ট গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। আরএসএফ বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ-সেন্সর) অভূত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্পাদকেরা সংগত কারণেই জেল বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকি এড়াতে চান।
এবারের সূচকে প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান (১৪৫), ভারত (১৪২), মিয়ানমার (১৪০), শ্রীলঙ্কা (১২৭), আফগানিস্তান (১২২), নেপাল (১০৬), মালদ্বীপ (৭৯), ভুটান (৬৫)।

আরএসএফ এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করতে পারা দেশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে আর স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা অব্যাহত রেখেছে।