রাজু দাশ ,চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দ্বিতীয় দফায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনস্বার্থে সরকার ঘোষিত ৮ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে
চলাচল নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) চকরিয়া পৌরশহরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ফাঁকা। মানুষের চলাচল নেই বললেই চলে। মাঝে-মধ্যে ২/১টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা মহাসড়কে চলাচল করছে। সেগুলো চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছে পুলিশ। যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে পুলিশ তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে। কোথাও কোথাও মামলা ও জরিমানাও করা হচ্ছে।

গত বুধবার ১ম দিন লকডাউন নিশ্চিত করার জন্য উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছৈয়দ শামসুল তাবরিজ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভির হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের নেতৃত্বে প্রশাসন মাঠে নামে। সকাল থেকে তারা চকরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও চিরিংগা কাঁচা বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খোলা দোকান বন্ধ করে দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে বেচা কেনার জন্য বিভিন্ন ঔষধের ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানকে বলেন। এসময় তারা লকডাউন নিশ্চিতে সরকারী আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালান।

উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছৈয়দ শামসুল তাবরিজ জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার এই লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোন কাজ ব্যতিত যত্রতত্র ঘুরাফেরা করা যাবেনা। সবাইকে মুখে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোন দোকান ও মার্কেট খোলা পেলেই তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।