বিগত বুধবার ৭ এপ্রিল ২০২১ইং স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আজকের দেশবিদেশ, দৈনিক আমাদের কক্সবাজার ও সিটিজি ট্রিবিউনালে ‘কক্সবাজার বিমান বন্দর সম্প্রসারণে অধিগ্রহণ এলাকার পুরনো মালামাল বিনা দরপত্রে বিক্রি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে বিমান বন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজে অধিগ্রহণ এলাকার পুরনো রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনার ২০ লাখ টাকার মালামাল বিনা টেন্ডারে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত সম্পদের মতো উক্ত মালামালগুলো বিক্রি করে বিশাল অংকের টাকা পকেটস্থ করা ভিত্তিহীন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভূঁয়া।

মুলতঃ কক্সবাজার বিমান বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের বন্দোবস্তিকৃত এলাকার মসজিদের অংশ পরিচালনা কমিটি নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে গেছেন। একইভাবে বস্তির ঘরগুলোর অবশিষ্ট অংশ বস্তির অবৈধ মালিক জেলা প্রশাসন কতর্ৃক ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সাপেক্ষে স্ব স্ব দায়িত্বে তারা নিয়ে গেছেন। এছাড়া সেনাবাহিনীর (১৬ ইসিবি) বিভিন্ন স্থাপনা ও বিমান বাহিনীর (রেস্ট হাউজ) কতর্ৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ভাঙ্গা হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের সকল পুরোনো মালামাল জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদে বন্দোবস্তিকৃত এলাকার পুরনো রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করে দিয়ে ফের সেখানে বালি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে অধিগ্রহণ এলাকায় কোন রাস্তার অস্থিত্ব নেই। তবে রাত্রিকালিন ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য বর্তমানে ওই স্থানে আই.এল.এস এর ক্যাবল স্থাপন করা হচ্ছে। এ জন্য রাস্তা কাটতে গিয়ে অল্প সংখ্যক ইট মাটির ভেতর থেকে মিলছে। যা যথাস্থানে সংরক্ষিত রয়েছে। শুধুমাত্র হাতেগোনা সামান্য ইট বিক্রির অভিযোগ বেমানান ও ভিত্তিহীন। এতে কক্সবাজার বিমানবন্দর বা অত্র দপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহেল রানার সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রশ্নই আসেনা।

কক্সবাজার বিমানবন্দর কক্সবাজারবাসী তথা সরকারী সম্পদ। বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য একাধিক প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণ কাজ শেষ হলে, যেমন বদলে যাবে পর্যটন নগরীর চেহারা, তেমনি সৃষ্টি হবে পুরো বিশ্বের সাথে নতুন সেতু বন্ধন। সেই সাথে সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি স্বার্থন্বেষী মহল সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে ওই সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এসব কাজে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক বা তার দপ্তরের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই। তবে উল্লেখিত স্থাপনা সমূহের অপসারণে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থাপনা সমূহের মালিকদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। এ ধরণের সংবাদে স্বনামধন্য একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে মনগড়া বক্তব্য উপস্থাপন সুনাম ক্ষুণ্ন করার চরিতার্থ মাত্র। যা সত্যিই দুঃখজনক বটে। প্রকাশিত সংবাদে অত্র দপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহেল রানাকে নিয়েও অহেতুক মিথ্যাচার করা হয়েছে। তাই আমি সাংবাদিক ভাইদের সরেজমিনে এসে সঠিত তথ্য যাচাই বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অহেতুক কোন ব্যক্তির মানহানি করা সমুচিত নয়। তাই আমি ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

 

নিবেদক

(মোঃ সোহেল রানা

উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)-এর পক্ষে)

(মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুক)

বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক

কক্সবাজার বিমানবন্দর, কক্সবাজার।