অনলাইন ডেস্ক: র্যাব-পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কথিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাজীপুর জেলা করাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে তাকে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন কারাগারের জেলার মো. আবু সায়েম।
তিনি জানান, রফিকুল ইসলামকে গাজীপুর জেলা করাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ আনা হয়েছে। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই তাকে এ কারাগারে রাখা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কথিত ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয় বলে জানান মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, ‘শিশুবক্তা হিসেবে’ পরিচিত রফিকুল ইসলাম ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা শেয়ার হওয়ায় তাদের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মামলায় আরও বলা হয়, রফিকুল ইসলাম মাদানী বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার করছেন। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
এর আগে, বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে গাছা থানায় র্যাব বাদী হয়ে রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। পরে তাকে গাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। একই দিন দুপুরে তাকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব মোবাইলে বেশকিছু বিদেশি পর্ন ভিডিও পাওয়া যায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ইলতুৎমিশ জানান, আটকের পর বুধবার রাত আড়াইটার দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিএমপি’র গাছা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-১। এ থানায় র্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন; তথ্য-উপাত্ত ইলেকট্রনিকস বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়।
এ মামলায় গাছা থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে, ২৫ মার্চ ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।-সময়নিউজ
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।