মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৮ জন। মৃতদের মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’২৭%।

বিশ্বস্ত সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার ৯ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা ৩ হাজার ৪৪৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। যা জেলার মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রায় অর্ধেক। ৩৫৬ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ মোট ১ হাজার ৪৯ জন করোনা রোগী নিয়ে উখিয়া উপজেলা দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে। ১০৪ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ মোট ৬৬১ জন করোনা রোগী নিয়ে টেকনাফ উপজেলা তৃতীয় শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে। ৬১২ জন করোনা রোগী নিয়ে চকরিয়া উপজেলা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ৪৭৯ জন করোনা রোগী নিয়ে রামু উপজেলা পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। ৪৩৬ জন করোনা রোগী নিয়ে মহেশখালী উপজেলা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ২৪১ জন করোনা রোগী নিয়ে পেকুয়া উপজেলা সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ১০০ জন করোনা রোগী নিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।

গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৬১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮৬’৭৮%।

এদিকে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে একই সময় পর্যন্ত সন্দেহজনক করোনা রোগীর নমুনা টেস্ট করা হয়েছে মোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৬৭ জনের। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলার নাগরিকদের নমুনা ৭২ হাজার ৬৭৭ জনের। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নমুনা ৩৫ হাজার ২৯৪ জনের। চট্টগ্রাম জেলার নাগরিকদের নমুনা ১১ হাজার ১২৩ জনের এবং বান্দরবান জেলার নাগরিকদের নমুনা ৫ হাজার ৭৭৩ জনের। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা টেস্ট টেস্ট শুরু হয় ২০২০ সালে ২ এপ্রিল হতে। এই ল্যাবে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল সর্বপ্রথম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের একজন নাগরিকের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ শনাক্ত হয়।

এদিকে, শুক্রবার ৯ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৪৫৯ জনের নমুনা টেস্ট করে ৪৫ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ৪১৪ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার শনাক্ত হওয়া ৪৫ জন করোনা রোগীর সকলেই কক্সবাজারের রোগী। তারমধ্যে, রোহিঙ্গা শরনার্থী ৬ জন। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৬ জন, উখিয়া উপজেলায় ১০ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৯ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৬ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৪ জন এবং মহেশখালী উপজেলার ৪ জন রোগী রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে অপেক্ষাকৃত কম টেস্ট এবং কম পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন-ল্যাবের সাথে সম্পৃক্ত একজন দায়িত্বশীল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

আক্রান্তদের মধ্যে গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত হোম আইসোলেসনে রয়েছেন ৬০৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে রয়েছেন ১৩৭ জন। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে রয়েছেন ৪৮ জন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসনে রয়েছেন ২ জন, ফ্রেন্ডশিপ SARI হাসপাতালে রয়েছেন ১৫ জন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইসোলেসন সেন্টার সমুহে রয়েছেন স্থানীয় জনগণ ৬৬ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছেন ৬ জন।