চকরিয়া সংবাদদাতা :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৩০ একরের চিংড়ি চাষের জমি জবর-দখলের সময় বনবিভাগের হেডম্যানের নেতৃত্বে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতাসহ ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় থানায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় আসামী করা হয়েছে ৮ জনকে। তন্মধ্যে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদের নামও রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলাটি রুজু করেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী বনবিটের হেডম্যান ও রিংভং ছগিরশাহ কাটার মৃত শাহাব মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন। এর আগে গত ২৮ মার্চ রাত বারোটার দিকে রিংভং এলাকায় বনবিভাগের মালিকানাধীন আর এস ৬৫ নম্বর খতিয়ানের আর এস ২১৩ দাগের ৩০ একর চিংড়ি চাষের জমির দখল নিয়ে এই হামলা ও গুলির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে ওইসময় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পায়।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একই এলাকার বনবিভাগের ভিলেজার আবদুল হামিদ (৬৫), ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ন আহবায়ক আমান উল্লাহ (৩৭), ছাবের আহমদ (৪৫), আবদুর রহিম (৫০), ওসমান আলী (২৫), বেলাল উদ্দিন (৩৫), আবদুল কাদের (৩২), নুর কাদের (১৭)। তন্মধ্যে সন্ত্রাসীদের ছোড়া ছর্ররা গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেছে যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ সর্বশরীর। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অপরদিকে মামলার এজাহারনামীয় ৮ আসামী হলেন রিংভং ছগিরশাহ কাটা গ্রামের কাশেম আলী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আরাফাত, রব্বত আলী, মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আহমদ আলী, সাজ্জাদ হোছাইন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরো ২০ জনকে।
মামলার বাদী নুরুল আমিনের অভিযোগ, চিংড়ি ঘেরটি জবর-দখলের চেষ্টাকালে সন্ত্রাসীরা উপর্যপুরি গুলিবর্ষণ ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ঘেরের উৎপাদিত ৬০ হাজার টাকার বাগদা চিংড়ি, ২৫ হাজার টাকার লইল্যা চিংড়ি, ৩০ হাজার টাকার সাদা চিংড়ি, ১২ হাজার টাকামূল্যের চারটি ঝাকি জাল, ১৫ হাজার টাকার দুটি বিহিঙ্গি জাল ও অন্যান্য ১০ হাজার মালামালসহ সর্বমোট ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার মালামালও লুট করে।এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ৮ জন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, বনবিভাগের মালিকানাধীন চিংড়ি প্রকল্পের জমি জবর-দখলের চেষ্টা ও গুলিবর্ষনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এর পর ব্যাপক তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বনবিভাগের হেডম্যান বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।