এ.এম হোবাইব সজীব, মহেশখালী:
আগামী ১১ এপ্রিল মহেশখালী ১টি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌরসভা এলাকায় এবং মাতারবাড়ী -হোয়ানক ও কুতুবজোম ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বাড়ছে উত্তাপ ও অজানা শঙ্কা।
এতে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ভোটারেরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টানা অভিযানে দস্যু, সন্ত্রাসীরা সরকারের চলমান আত্মসমর্পণ ও গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা অপরাধী, মাস্তান রাজনৈতিক দলের ক্যাডার এলাকার বাইরে থাকলেও অনেক অস্ত্রধারী -সন্ত্রাসী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ দলের ছত্রছায়ায় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করায় শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের। অনেকে মাটির ভিতরে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র তুলে গোপনে শান দিচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ফলে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা।
এছাড়া ও প্রথমধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলার তিন ইউনিয়নে। ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে, মাতারবাড়ী,হোয়ানক ও কুতুবজোম।
সরেজমিনে পৌর সভা ও তিন নির্বাচনি ইউপি এলাকা ঘুরে বিভিন্ন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, পৌর এলাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোটারেরা দীর্ঘদিন পর আগামী ১১ এপ্রিল তাদের কাঙ্ক্ষিত ভোটটি যোগ্য প্রার্থীকে প্রদানের জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছে। উপজেলার মাতারবাড়ী সাইরার ডেইলের বাসিন্দা রিয়াদ জানান, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। এই শ্লোগানটি বাস্তবতা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখতে চাই। একই কথা সিকদার পাড়া গ্রামের আরেক ভোটার সাইফুলের।
মাতারবাড়ীর বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাতারবাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী রুহুল বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার দরকার। এছাড়া ও সুষ্ঠ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারেরা রয়েছে শঙ্কা, উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়।
একই দাবি করে হোয়ানক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অব্যাহত রাখতে সাধারণ মানুষ এবারও নৌকার পক্ষে গণরায় দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি জানান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জুলকার নাঈম বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচনী অনুষ্ঠের লক্ষে প্রশাসন কাজ করবে। এছাড়াও প্রচারণা চলাকালে যাতে কোন ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, কোন প্রার্থীর সমর্থক আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত: আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্টিত হবে মহেশখালী পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন। প্রথম বারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে পৌর সভায়। অপরদিকে ৩ ইউপিতে এনালগ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে।