অনলাইন ডেস্ক : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটেছেন নিজের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ভোরে উপজেলার শিবপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শিবপাশা গ্রামের উতু মিয়ার ছেলে জাবেল মিয়া প্রায় এক যুগ আগে উত্তর সাঙ্গর গ্রামের লিচু মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। কিছুদিন আগে শাপলা বেগমের সন্দেহ হয় তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে পাবিবারিক বিবাদ চলছিল।

বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী শাপলা বেগম বটি দিয়ে স্বামী জাবেল মিয়ার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। এতে তার গোপনাঙ্গের অধিকাংশই কেটে যায়। খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে জাবেল মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার পর থেকে ওই ব্যক্তির স্ত্রী পলাতক।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ভোরে ঘুমের মধ্যে স্ত্রী বটি দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ আঘাত করে পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আহত জাবেল মিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন জাবেলের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো রয়েছে। ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন তার বিশেষ অঙ্গ রক্ষা করার।

এ ব্যাপারে পুলিশ জাবেলের স্ত্রীকে আটকের চেষ্টা করেও পায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। জাবেলের ভাই জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ফিরে তারা থানায় অভিযোগ দেবেন।