উখিয়া সংবাদদাতা : কক্সবাজারের উখিয়ায় গত ১৫দিনের মধ্যে ২বার অপহরণের শিকার হয়েছেন কলেজছাত্র আবদুল আজিজ(১৭)। সে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমঁখা ক্লাসপাড়া গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের ২য় সন্তান ও উখিয়া ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।

গত পরশু ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটায় বাড়ি থেকে ধান ভানার জন্য কোটবাজার শামশু মাষ্টারের অটোরাইচ মিলে যাওয়ার জন্য বের হলে ঘন্টাখানেক পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আর সে বাড়ি ফেরে নাই। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজির পর তার নিখোঁজের বিষয়টি উখিয়া থানায় অবহিত করা হয়। এবং ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুপনগর মোড় এলাকার কয়েকজন যুবক তার বড়ভাই আবদুল্লাহ আল নোমানকে ফোন করে জানান তারা আবদুল আজিজ নামে একজনকে তাদের ফার্নিচারের দোকানের সামনে ছড়ার পাশে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা মুমূর্ষু আবদুল আজিজকে উদ্ধার করে তার নাম ও বড়ভাইয়ের নাম্বারটা জানার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু আবদুল আজিজকে স্থানীয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ওই সময় কলেজছাত্র আবদুল আজিজের পরিবার নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল আজিজকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ওইদিন রাত থেকে অজ্ঞান অবস্থায় আবদুল আজিজ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়িতে কলেজছাত্র আবদুল আজিজকে উদ্ধার করা স্থানীয় ইকবাল নামে একজন জানান, আবদুল আজিজকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধারের অনুমানিক ১০ মিনিট আগে নাইক্ষ্যংছড়ি-সোনাইছড়ি-তুমব্রু সড়ক দিয়ে দ্রুত গতিতে একটি কালো হাইচ মাইক্রো নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারের অভিমুখে আসতে দেখেন। এবং সেটি রাস্তায় একটি চেকপোস্টে আইন অমান্য করে চলে আসেন। এবং লোকজন সিগন্যাল দিলে না থামিয়ে দ্রুত চলে আসেন।

উল্লেখ যে, এর আগে গত ৪ মার্চ কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে মরিচ্যা বাজার থেকে অপহরন করার পর ঢাকা যাত্রাবাড়ী বাসষ্টান্ড মোড়ে ফ্লাইওভারের পাশে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে তার ফোন থেকে পরিবারে কল দিলে উখিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এবং এই ঘটনায় উখিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়রী ও অভিযোগ করা হয়েছিলো।

প্রথমবার অপহরণ হওয়ার পর আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরও ২য় বার অপহরণের শিকার হওয়ায় বর্তমানে আতংক-উৎকণ্ঠা ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে কলেজছাত্র আবদুল আজিজের পরিবার।