সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রোজার আগে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফার নেশায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারের ব্যবসায়ীরা। এমনতর অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

তবে রোজার আগেই বেশি পণ্য কিনে মজুদ করায় দাম বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস।
অথচ দীর্ঘ মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার।

বিশেষ করে ভোজ্য তেল, চাল, চিনি, খেঁজুর, ডাল, ছোলা, গুঁড়া দুধ সবকিছুই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ভোজ্যতেল বিক্রিতে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেনা কেউই।

খুটাখালী বাজারের ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা জানান, ভোগ্যপণ্য আমদানির সংকট নেই।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় আমদানিকারকরাও বাড়তি দামে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

সরজমিন দেখা গেছে, সরকার ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেদিকে কর্ণপাত করছেন না কোন ব্যবসায়ী। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকরী পদক্ষেপও চোখে পড়েনি। অথচ ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষরা।

খুটাখালী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিউল আলম বলেন, রমজানে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। রোজায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠনেরও উদ্যোগ নেয়া জরুরী।

এ প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, বাড়তি দামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ আসছে।
তাই পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অতি শীঘ্রই বাজার মনিটরিং শুরু হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।