নিজস্ব প্রতিবেদক:

উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকার জন্য ভোট চাইলেন খুরুশ্কুল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দীন। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান না হলে খুরুশ্কুলে উন্নয়ন ভেস্তে যাবে। তাই সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্র্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও উপকারভোগীদের সম্মানে আয়োজিত মেজবান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন খুরুশ্কুলবাসীর প্রতি এই আহŸান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের কর্মকর্তা রেজাউল করিম, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিম উদ্দীন, ৪নং সদস্য রিয়াজ উদ্দীন মিনু, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিউল আলম, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এহতেশামুল হক জওযান, ইউপি সচিব এনামুল হক ও মাসুদ রানা।

চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের মুক্তি ও অধিকার আদায়ের জন্য তাঁর সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার ত্যাগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। তার যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেলে রূপান্তর হয়েছে।
জসিম উদ্দীন আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। খুরুশ্কুলেও গত পাঁচ বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে আবারো নৌকায় ভোট দিতে হবে।

এসময় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন গত পাঁচ বছরে তার কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ভুল-ত্রæটির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা কামনা করেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, গত পাঁচ বছরে খুরুশ্কুলে চেয়ারম্যানের জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোথাও হয়নি। তিনি সমতার ভিত্তিতে অসহায় ও দ্ররিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সব ধরণের ভাতা। মুল সড়কসহ গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার করেছেন। সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে কোনো ধরণের প্রতিহিংসামূলক কোনো কিছু তিনি করেননি। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জসিম উদ্দীনকে আবারো চেয়ারম্যান বানাতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিজ অর্থায়নে প্রায় ২ হাজার উপকারভোগীর জন্য মেজবানের আয়োজন করেন চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন। এরা সবাই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের প্রকল্পের উপকারভোগী।