এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:

সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া প্রবারণা পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিককতা আকাশে নানা রঙ্গের শতশত ফানুস উড়ানোর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটেছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর, হারবাং ইউনিয়নের রাখাইন পল্লী এবং চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ ও মগবাজার এলাকার বৌদ্ধ বিহারগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। পাশাপাশি উৎসবে মেতে উঠে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-শিশু থেকে সব বয়সের মানুষ।

শুক্রবার থেকে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চকরিয়া উপজেলার হারবাং, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির গুলোতে শুরু হয়েছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।

এদিন বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, শিবলী পূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, কর্মদেশনা, ধ্যান অনুশীলন, প্রার্থনা, হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো হয়েছে। শনিবার পূজার সমাপনী। এ দিন আকাশে উড়ানো হয়েছে নানা রঙ্গের শত শত ফানুস। পহেলা নভেম্বর মাতামুহুরী নদী এবং হারবাংয়ের শাখাখালে জাহাজ ভাসার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপনী হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা পরিমল বড়–য়া। এই লক্ষ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও বৌদ্ধ বিহারগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলার অন্য জনপদের মতো গত ৩১ অক্টোবর চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর দক্ষিণপাড়া বিহারে শুরু হয় প্রবারণা পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিকতা। এদিন বিহারে বুদ্ধপূজা, হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে পূণ্যার্থীদের প্রার্থনা এবং সর্বশেষ আকাশে উড়ানো হয় নানা রঙ্গের শতশত ফানুস। উৎসবমুখর আয়োজন দেখতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের জনসাধারণ ছাড়াও অংশনেন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ।

এদিকে উৎসবের সমাপনী দিনে রোববার চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর দক্ষিণপাড়া বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব আয়োজনে অংশনেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। স্থানীয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমকে সঙ্গে বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উৎসবমুখর আয়োজন ঘুরে দেখেন তিনি। পরে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।