ইমাম খাইর, সিবিএন#
নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত থাকায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকেরা ফেরার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তারা শনিবার দ্বীপে আনন্দঘন সময় পার করেছে। সন্ধ্যা থেকে রাত নাগাদ বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান থেকে কেনাকাটাও করেছে।

এমনটি জানিয়েছেন সেন্টমার্টিনের ইউপি সদস্য মো. হাবিব খান।

তিনি জানান, টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাব নেই। আজ শনিবার দ্বীপের আবহাওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। বিকাল থেকে রাত নাগাদ পর্যটকদের বিনোদন করতে দেখা গেছে। কেটে গেছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ঠিক থাকলে পর্যটকেরা কক্সবাজার ফিরতে পারবে বলে মনে করেন দ্বীপের এই জনপ্রতিনিধি।

পর্যটকবাহি জাহাজ কর্ণফুলি এক্সপ্রেসের কক্সবাজার অফিসের ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে রবিবার সকাল ৭ টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছেড়ে যাবে কর্ণফুলি। বিকাল সাড়ে ৩ টায় সেন্টমার্টিন থেকে রওনা দেবে। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ কক্সবাজার ঘাটে জাহাজ ভিড়বে।

তিনি জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত ২১ অক্টোবর তাদের জাহাজের প্রায় ৪০০ যাত্রী সেন্টমার্টিনে থেকে যায়। সে দিন যারা আসতে চেয়েছিল তাদের নিয়ে আসে তারা। স্বেচ্ছায় দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিজ দায়িত্বে নিরাপদ অবস্থান নেওয়ার জন্য মাইকিংও করা হয়।

বাহাদুর জানান, শনিবার তারা আবহাওয়া অফিসের সাথে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পড়ায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর দেখানো সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। গত তিনদিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতও থেমেছে। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। অল্পসময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সেখানে আটকে থাকা পর্যটকরা কক্সবাজার কূলে ফিরে আসতে পারেননি।

তিনি জানান, আটকেপড়া পর্যটকদের প্রশাসনিক তদারকিতে নিরাপদে রাখা হয়। এখন সংকেত উঠে গেছে। জাহাজ চলাচল শুরু হলে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে নিরাপদে কূলে ফেরা পর্যন্ত দেখভাল করতে সেন্টমার্টিন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।