আবদুল মালেক :
কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে আরবের লোকেরা তাকে জীবন্ত কবর দিত।নারী জাতির ছিলনা কোন অধিকার,বহু বিবাহ,ধর্ষণ, হত্যা ছিল তৎকালীন আরবের অবস্থা। নারী জাতির কান্নার আওয়াজে যখন আকাশ- বাতাস প্রকম্পিত তখন সেই সমাজের নারীদের মুক্তির জন্য আল্লাহ প্রেরণ করলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির মহানায়ক হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে।রাসুল (সা.) এর আগমনের মধ্য দিয়ে নারী জাতি পেল তার প্রকৃত অধিকার।ঐতিহাসিক ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে রামুতে প্রস্তুতি সবাই বক্তারা এ কথা বলেন।
ঐতিহাসিক ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি রবিবার বাদে মাগরিব রামু হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন মাসুসিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা ও হেফযখানা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
রাজারকুল মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও আনজুমান-এ নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দীর সভাপতিত্বে ও হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ রামুর মহাসচিব ও আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ রামু উপজেলার সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ রামু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার ছালামত উল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা আনজুমানের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আবদুর রশিদ হক্কানি, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা কাজি আবু বকর সিদ্দিকী, মাওলানা আবদুস সালাম,মাওলানা এস এম আবদুল্লাহ শাহেদ,নুরুল আলম,,শামসুল আলম,এস এম ছফিউল্লাহ মুনির, মোহাম্মদ ইসলাম, এস এম নিয়ামত উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম,খাজা বাকিবিল্লাহ, ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় রামুতে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উদযাপন করা হবে।বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর আগমনের মধ্য দিয়ে বিপন্ন মানবতা মুক্তির পথের সন্ধান লাভ করেছে।রাসুলের জীবনাদর্শ আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের জন্য এই দিবসটি পালনের কোন বিকল্প নেই।তাই এই বছরও আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা ও রামু উপজেলা শাখা এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত রামুর ব্যবস্থাপনায় করোনাকালীন মহামারীর সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ৩০ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি শুক্রবার রামু হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গন হতে জশনে জুলুস (র্র‍্যালী) বের করা হবে এবং তা রামুর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে মিলিত হয়ে সেখানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং তাবারুক বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে।উক্ত মহতী অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক,প্রশাসনিক,সামাজিক, জনপ্রতিনিধি ও লেখক,গবেষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত থাকবেন।