বার্তা পরিবেশক:
শহরের বাবুল সেলুনের মালিকের জায়গা দখলে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে প্রভাবশালীরা। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে ২ দিনে ৫ বার দখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে উক্ত সিন্ডিকেট। কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল গিয়াসের তৎপরতার কারনে রক্ষা পেয়েছে বাবুল সেলুনের মালিকের পরিবার।
শহরের লালদিঘীর পশ্চিম পাড়ের মৃতযুগেন্দ্র লাল সুশিলের পুত্র অনিল কুমার সুশীল ভুলু ( বাবুল সেলুনের মালিক) জানান, পৌরসভা মৌজার বাবুল সেলুনের পাশের আরএস ১২৯৫ নং খতিয়ানের ৩০০ ও ৩০ নং দাগের এবং বিএস ২৫ নং খতিয়ানের ২৪৭২ দাগের ২.৫০ শতক জায়গার খরিদ সুত্রে মালিক তিনি। তার মোট জায়গা সাড়ে ৭ শতকের মধ্যে ৪.৮০ শতক বর্তমানে ভোগ দখলে আছে। অবশিষ্ট জায়গাটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা চালিয়ে আসছে উখিয়ার ইনানী এলাকার প্রভাবশালী মৃত মোজাফফর আহমদ সিকদারের পুত্র এখলাসুর রহমান,শাহজাহান শিকদারের পুত্র মোঃ মোশাররফ হোসেন, বড় ইনানীর কামাল উদ্দীন মিন্টুর পুত্র ইমরান হোসেন, এবং এখলাসুর রহমানের পুত্র হিরো আলম। তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ২ টি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন আইন না মেনে ১৪ অক্টোবর সকাল ৩ বার এবং গতকাল সকাল ২ দফা দখলের উদ্দেশ্য হামলা চালিয়েছে। গত বছরের ২২ আগস্ট এবং চলতি বছরের ১১ আগস্ট উক্ত প্রভাবশালী এখলাসুর রহমান গং কে বিরোধী উক্ত আড়াই শতক জায়গায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করলেও গত২ দিন ৫ দফায় দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়। গতকাল কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল গিয়াসের নির্দেশে এসআই দস্তগীর বাবুল সেলুনের পাশে বিরোধী জায়গায় উপস্থিত হলে এখলাসুর রহমান গং এর কাজ বন্ধ করে দেয়। উভয় পক্ষ নিয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় ১৪ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে বিরোধ সমাধানের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালায়।কিন্তু উক্ত বৈঠকে পুলিশের সামনে ১০/১২ জন এখলাসুর রহমান গং এর লোক অনিল কুমার সুশীলের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
অনিল কুমার সুশীল দাবি করেন পুলিশের সামনেই মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগের সকল নেতা এবং থানা পুলিশ তাদের বলে আক্রমণ চালাতে তেড়ে আসে। নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে ও দাবী করা হয়।
এ ব্যপারে কক্সবাজার মডেল থানার এসআই দস্তগীর জানান, অনিল কুমার সুশীলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি বিরোধীয় জায়গায় উপস্থিত হয়ে বিবাদীদেরকে কোন স্থাপনা না করার নির্দেশ দিয়েছি। যেহেতু উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে সেহেতু উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছি।আদালতই বিষয়টি সুরাহা করবে।
খরিদ সুত্রে মালিক অনিল কুমার সুশীল উক্ত প্রভাবশালী এখলাসুর রহমান গং এর হাত থেকে নিজের জায়গা রক্ষা এবং অনবরত হুমকি থেকে পরিবার ও নিজেকে রক্ষায় পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।