শাহিদ মোস্তফা শাহিদ:
রামু উপজেলার ঈদগড়ের তরুণ কণ্ঠ শিল্পী জনি দে রাজ ও দিন মজুর মোহাম্মদ কালুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপদ সড়কের দাবীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারী সড়কে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ ও ঈদগড় বাজারের প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকানপাট বন্ধ ছিল।
সকাল থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঈদগড় বাজারে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে সারা দিন সরব রাখে এলাকাটি। হরতাল চলাকালীন বিকেলে ঈদগড় বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্রো, বাজার সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা, হিন্দু কল্যাণ সমিতির সভাপতি অধির কান্তি দে, ডা. রাধেশ্যাম আর্চায্য, বাজার সমিতির সেক্রেটারি নিজাম উদ্দীন, সিএনজি সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি নেজাম উদদীন, ইজিবাইক (টম টম) সমিতির সভাপতি এহসানুল হক, সেক্রেটারি আয়ুব আলম প্রমূখ।বক্তরা অনতিবিলম্বে জনি দে রাজ ও মো. কালুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ডাকাত প্রবণ এলাকায় সেনা অথবা বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানান।উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের দিকে ঈদগাঁও ঈদগড় সড়কে হিমছড়ি ঢালা নামক স্থানে পৌছলে ডাকাতদলের আক্রমনে নৃশংস ভাবে নিহত হন জনি দে রাজ ও মোহাম্মদ কালু।