শাহেদ মিজান, সিবিএন:
সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেন ধর্ষণের জোয়ার চলছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের তুমুল ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তাতে অত্যন্ত তৎপর হয়েছে সরকার। তাৎক্ষণিক ধর্ষণের শাস্তি করেছে মৃত্যুদন্ড। এমন অস্থির সময়ে এবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘটেছে বর্বর গণধর্ষণের ঘটনা। প্রেমিকসহ তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে স্কুলছাত্রীকে এবং তা ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে। গত ১১ অক্টোবর উপজেলা বড়মহেশখালী ইউনিয়নের দেবেঙ্গাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রেমিক এবাদুল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দেবেঙ্গা পাড়ার ওই স্কুলছাত্রীর গুলগুলিয়া পাড়ার মোঃ আলী প্রকাশ নবাব মিস্ত্রির পুত্র এবাদুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এর অংশ হিসেবে গত ১১ অক্টোবর সাড়ে ৯টার দিকে প্রেমিক এবাদুল্লাহ ফোন করে ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে। সে বের হয়ে দেখে প্রেমিকের সাথে আরো তার দুই বন্ধুও রয়েছে রয়েছে। তারা হলো গুলগুলিয়া পাড়ার মোঃ আলীর পুত্র খায়রুল আমিন ও একই এলাকার আলী আহামদের পুত্র নূরুল হাকিম। এক পর্যায়ে জোর করে প্রেমিকসহ তিনজনই ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তার ভিডিও ধারণ করে।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবার বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য এরফান উল্লাহ জানান, ঘটনার পরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি জানায় ধর্ষকরা। ভিডিও ধারণের কথা জানিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে ধর্ষকরা। না দিলে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু মেম্বার তাদের জন্য জন্য ফাঁদ পাতে। এর অংশ হিসেবে চাঁদার টাকার জন্য ১২ অক্টোবর রাতে স্থানীয় বিলে আসে প্রেমিক এবাদুল্লাহ ও খায়রুল আমিন এবং জাহাঙ্গীর নামের আরো একজন। ধর্ষণে জড়িত নূরুল হাকিম আসেনি। এক পর্যায়ে মেম্বারসহ স্থানীয় লোকজন ধানক্ষেতে ওৎপেতে থাকে এবং চাঁদার টাকা নিতে আসলে এবাদুল্লাহ ও খায়রুল আমিনকে ধরে ফেলে। কিন্তু স্থানীয় আকতার কামালেরর পুত্র আশরাফুল ইসলাম রাসেল প্রভাব কাটিয়ে খায়রুল আমিনকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে আটক এবাদুল্লাহকে থানায় করে নিয়ে আসে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল হাই সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেফতার প্রেমিক এবাদুল্লাহ ধর্ষণের কথা স্বাকীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওসি জানান, এই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান জোরদার রয়েছে।