জাহাঙ্গীর আলম শামস#
বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ২০ টি ড্রেজার মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের অধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের মধুশিয়া, খুটাখালী খাল ও মেধা কচ্ছপিয়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানা ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

বনবিভাগ ও জেলা প্রশাসনে যৌথ অভিযানে ৩ জনকে আটক করা হলেও রাঘব বোয়ালরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

অভিযানকালে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া, জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটুসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও চকরিয়া থানার পুলিশ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।

এদিকে, বালু উত্তোলন কাজে কারা জড়িত, এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়।

বন কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সূত্র থেকে জানা গেল, সরকারি বনভূমি দখল, বালি উত্তোলনসহ সব জবর দখলকাজে একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত রয়েছে। দখলবাজির সাথে সরকারি দলের কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে।

পাওয়া তথ্যমতে, মধুশিয়া এলাকায় আনোয়ার মেম্বার, নূর মোহাম্মদ পেটান, সাইফুল ইসলাম, মিন্টু, লিটন, ফারুক, বেলাল, রাশেদ, আবদুশ শুক্কুর, শাহজালালসহ অন্তত ২০ জনের একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে।

মেধা কচ্ছপিয়া এলাকায় জিল্লুর রহমান, আবদুল মান্নান, ওসমান গনিসহ ১০/১৫ জনের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালি উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

এছাড়া ফুলছড়ি ছরাকেন্দ্রিক আব্দুস শুক্কুর, মোরশেদ, নুরুল আবছার, কালা সোনা, দেলোয়ার হোসেন, লুতু, রমজানসহ একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে।

এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হলেও তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালি উত্তোলন ও অবৈধ দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।