মো: রিয়াজ উদ্দিন ,পেকুয়া:

পেকুয়ায় কৃষককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ধান ক্ষেত থেকে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে একদল দুবৃর্ত্তরা তাকে ধারালো কিরিচ দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার ডানপায়ের গোঁড়ালিতে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাত জাহান রুমকি জানান, জখমী ব্যক্তির আঘাত অধিক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দশেরঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখমী ব্যক্তির নাম আবু বক্কর (৪০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শী জখমী আবু বক্করের ভাতিজি হাছিনা বেগম জানান, একটি কারেন্ট জাল খোয়া নিয়ে আবু বক্কর ও আবদু রহমানের পুত্র আবদুল খালেকের মধ্যে বনিবনা চলছিল। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছিল। ওই দিন বিকেলে আবু বক্কর বিলের ধান ক্ষেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আবদু রহমানের পুত্র আবদুল খালেক, তার ভাই রমজান আলী, আবদুল মালেকসহ দুবৃর্ত্তরা ধারালো কিরিচ নিয়ে তার চাচা আবু বক্করকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় শাহাদাত হোছাইন জানান, আবু বক্করকে কিরিচ নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছি। হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসার পর হামলাকারীরা সন্ধ্যার দিকে দ্বিতীয় দফায় আবু বক্করের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ ব্যাপক লুটপাট ও তান্ডব চালায়। আবু বক্করের মা ছৈয়দা বেগম জানান, আমার ছেলেকে হত্যা করতে কিরিচ নিয়ে পথে আক্রমন চালায়। কিরিচের কুপে ডানপায়ের গোঁড়ালি কেটে দেয়া হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুহাম্মদ আলম ও মৌলভী ইয়ার মোহাম্মদসহ আরো অনেকে জানিয়েছেন, হামলাটি ভয়ানক হয়েছে। তার প্রচুর রক্ত গেছে। পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।