এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
করোনা সংকট কাটিয়ে অবশেষে দৃশ্যমান হচ্ছে বিশ^ব্যাংকের সহযোগি প্রতিষ্ঠান এমজিএসপি প্রকল্পের অর্থবরাদ্দের বিপরীতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৯০ কোটি টাকার ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। করোনা সংকটে বেশ ক’মাস উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে গেলেও সম্প্রতি সময়ে ফের পুরোদমে শুরু হয়েছে প্রতিটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ। এই অবস্থায় বুধবার ৭ জুলাই চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পরির্দশনে এসেছেন বিশ^ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।

বিশ^ব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি চকরিয়া পৌঁছে প্রথমে চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপর তাঁরা চকরিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে পৌঁছলে মেয়র আলমগীর চৌধুরী তাদেরকে স্বাগত জানান। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম ও মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে সাথে নিয়ে চকরিয়া পৌরসভা সার্বিক তত্ত্বাবধানে এমজিএসপি প্রকল্পের ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে বাস্তবায়নধীন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমুহ পরির্দশন করেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

সুত্রে জানা গেছে, লক্ষাধিক মানুষের নগরী চকরিয়া পৌরসভা। বর্তমান মেয়র ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীর সফল নেতৃত্বে উন্নয়নের পাইপ লাইনে দৃশ্যমান অগ্রগতি হচ্ছে চকরিয়া পৌরসভার। বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে ছোট-বড় ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারী মাসে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পরির্দশন করে গেছেন বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগি প্রতিষ্ঠান জাইকার উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।

অপরদিকে বুধবার ৭ জুলাই বিশ^ব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি এমজিএসপি প্রকল্পের চলমান চকরিয়া পৌরসভার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র, সকল কাউন্সিলর, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি ধর এবং স্থানীয় সুধীজন।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী বলেছেন, করোনা সংক্রমণ সংকটের অনেক আগে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগি প্রতিষ্ঠান এমজিএসপি প্রকল্পের অর্থবরাদ্দের বিপরীতে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছোট-বড় ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

সুচনা করা প্রকল্পে আছে আধুনিকমানের ড্রেন,কালভার্ট, লাইটিং, শিশু পার্ক,কমিউনিটি সেন্টার, সলিট ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট, পানি সরবরাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ছাড়াও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক নির্মাণসহ অন্তত ২৬টি উন্নয়ন কাজ।

তিনি বলেন বলেন, করোনা সংকটে বেশ ক’মাস উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে গেলেও সম্প্রতি সময়ে ফের পুরোদমে শুরু হয়েছে প্রতিটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ। এই অবস্থায় বুধবার ৭ জুলাই চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পরির্দশনে এসেছেন বিশ^ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। করোনা সংকট কাটিয়ে অবশেষে দৃশ্যমান হচ্ছে এমজিএসপি প্রকল্পের অর্থবরাদ্দের বিপরীতে চকরিয়া পৌরসভার ৯০ কোটি টাকার ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।

মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, গত নির্বাচনে পৌরবাসির কাছে আমার প্রতিশ্রুতি ছিল,পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে চকরিয়া পৌরসভাকে স্বপ্নের মেগাসিটি হিসেবে রূপান্তর করবো। জনগনের আস্থার প্রতিদান দিতে পৌরবাসির সেবা নিশ্চিতে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে পৌরবাসির মাঝে শতভাগ নাগরিক সেবা উপহার দিতে পারবো।