আবদুল মজিদ, চকরিয়াঃ
আবু শামা, বয়স ৭০বছর। পিতা মরহুম আমির হামজা, বাড়ি- চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী।

৫ বছর ধরে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় ৬ তলা বিশিষ্ট বাসভবনে পাহারাদার হিসেবে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করতেন।

বাড়ির মালিক আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার কোনাখালী ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার বাসিন্দা।

তিনি সৌদি আরব প্রবাসী। বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন।

চলমান করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে বিগত ৭ মাস ধরে এই বয়োবৃদ্ধ পাহারাদারকে বেতন দিচ্ছেন না বাড়ি মালিক আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার। উল্টো মিথ্যা অপবাদে তাড়িয়ে দেন।

বিষয়টি গত ২৩ জুন সন্ধ্যা ৭টায় কোন এক মারফতে জেনে ফেলেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান।

তিনি তাৎক্ষনিকভাবে বৃদ্ধ মুরব্বীকে ডেকে নেন। তাকে ‘বাবা’ হিসেবে সম্বোধন করেন। নিজের চেয়ার থেকে ওঠে সামনের মেহমান চেয়ারে বসতে দেন বৃদ্ধকে।

এরপর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মাসুদকে ডাকেন।

দায়িত্ব দেন, এক ঘন্টার মধ্যে বাড়ির মালিককে থানায় হাজির করতে।

তিনিও ঠিক তাই করলেন।

বাড়ি মালিক আনোয়ারুল ইসলাম সিকদারকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে হাজির পুলিশের এসআই মাসুদ।

ওসির নির্দেশে পরবর্তী এক ঘন্টার মধ্যে পাহারাদার আবু শামাকে উপস্থিত এমপি’র সহকারি হাসানুল ইসলাম আদরসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর সম্মুখে পাওনা ৭ মাসের বেতন ৪২ হাজার টাকা আদায় পরিবর্তে স্বসম্মানে হস্তান্তর করেন।

এসব টাকা পেয়ে বৃদ্ধ অনেক খুশি সত্তরোর্ধ বয়োবৃদ্ধ পাহারাদার। তাতে শেষ নয়। থানার গাড়ীতে করে বৃদ্ধকে তার বাড়ি ডুলাহাজারায় পৌঁছে দেন।

চকরিয়া থানার বর্তমান ওসির এধরণের মানবিক কর্মকান্ডের নজির আরো অহরহ রয়েছে। এমন চৌকষ কর্মকর্তা পুলিশের আদর্শিক ও মানবতাবাদী কার্যক্রমকে প্রশংসিত করছে।