• মাহবুব নেওয়াজ মুন্না

প্রারম্ভিকাঃ

মহৎ পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে সারাবিশ্বে ‘ফোর স্টেট’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। মানুষের যেকোন মুহূর্তে পাশে এসে দাঁড়ায় সাংবাদিকবৃন্দ। দেশ ও জনগণের কাছে শোনায় মানুষের দুঃখ-সুখের কথাগুলো। বলা আছে- ‘‘সংবাদপত্র সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ।” আর সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক। তাই সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।

প্রেসক্লাবের প্রয়োজনীয়তাঃ

সাংবাদিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ ঐক্য ও কাজের সুবিধার্থে প্রতিটি উপজেলায় থাকে একটি প্রেসক্লাব। যেখানে হয় তাঁদের আন্তঃযোগাযোগ। এজন্য সম্মিলিত ভাবে দাপ্তরিক কাজের জন্য থাকে উক্ত ক্লাবের থাকে একটি ভবন। যেখানে সাংবাদিকগণ সংবাহ সংগ্রহ পরবর্তী বিশ্রাম করতে পারে অনায়াসে। সবচেয়ে বড় উপকার হয় ভিন্ন স্থান বা উপজেলা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যম থেকে আগত সাংবাদিকগণের। তাঁরা জরুরী সংবাদ সংগ্রহের কাজ ও বিশ্রামের একটা ঠিকানা পায় যেকোন বিপদে-আপদে।

টেকনাফ প্রেসক্লাবঃ

টেকনাফ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত ১৯৯৩ সালে। অনেক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে এটিকে ঘিরে। টেকনাফের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সবার কাছে তুলে ধরেছে টেকনাফ প্রেসক্লাব। টেকনাফের সাংবাদিকতার ইতিহাস যেমন সমৃদ্ধ, তেমনি এই পেশার বিকাশ সাধনে টেকনাফ প্রেসক্লাবের ভূমিকাও অনন্য। টেকনাফ প্রেসক্লাব থেকে একসময় “প্রবাল” নামে একটি প্রকাশনা বের করা হতো। উক্ত প্রকাশনার মাধ্যমে আমরা টেকনাফের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিকাশমান শিল্প ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারতাম অনায়াসেই।

ঝুঁকিপূর্ণ টেকনাফ প্রেসক্লাব ভবনঃ

টেকনাফ প্রেসক্লাব ভবনটি হয় ২০০০ সালের দিকে। কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে টেকনাফ প্রেসক্লাব ভবনটি বর্তমানে বহুবছর ধরে পলেস্তারা খসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বন্ধ রয়েছে। যার কারণে সাংবাদিকগণ ভোগান্তিতে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে শিক্ষানবীশ সংবাদকর্মীরাও আগ্রহ হারাচ্ছে নির্ধারিত স্থানে কাজ করতে না পেরে। কয়েকদিন আগে উখিয়ায় দেখলাম, উখিয়া প্রেসক্লাব ভবনটি একটি জাতীয় ও আন্তজার্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংস্কার করে দিচ্ছে। সুতরাং টেকনাফ প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষও চাইলে তাদেরকে জরুরীভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণের কথা ব্যক্ত করে সংস্কারের আবেদন করতে পারে।

 


তরুণ লেখক ও প্রাবন্ধিক সাবরাং, টেকনাফ, কক্সবাজার।Twitter: theMahbubNewaz