ফরিদুল  আলম দেওয়ান, মহেশখালী:

পৃথিবীতে প্রত্যেক বাবা মায়ের অস্তিত্ব ও স্বত্তাজুড়ে বিরাজিত থাকে তাদের অতি আদরের সন্তান সন্ততিরা। মৃত্যুর আগ মুহুর্তেও মনে থাকে সন্তানের কথা। তেমনি একজন হতভাগা বাবা ডাঃ নুরুল হক, যিনি  নিজের অন্তিম মূহুর্তে প্রিয় সন্তানকে দেখার কুতি জানিয়েলেন।

কুলে ভর করে কলিজার টুকরো সন্তান হাজির। ললাটের নির্মম পরিহাস, দু’চোখ মেলিয়া দেখা হয়নি সন্তানকে। ততক্ষণে বাবার চোখ খোলার সময় ফুরিয়ে গেলো।

এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ঘটেছিল। ডাঃ নুরুল হক ওই হাসপাতালেরই সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ।

গ্রামের বাড়ি মহেশখালীর কুতুবজোমে।

ডাঃ নুরুল হক করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।

নিজ কর্মরত হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আইসিইউতেই জীবনাবসান ঘটে।

তবে, তার অন্তিম শয়নে শেষ ইচ্ছা ছিল নিজের ছোট বাচ্চাটাকে এক পলক দেখা। কিন্তু ততক্ষণে চোখ দু’টি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালের বিছানাতে নিথর হয়ে গেলেন কঠিন সময়ের মানবতার এই চিকিৎসক বন্ধু।

১৮ জুন সকাল ৬.৪৫ মিনিটে না ফেরার জগতে চলে যান ডাঃ নুরুল হক। অপূর্ণই রয়ে গেলো সন্তানকে দেখার ইচ্ছা। হয়তো পরপারে দেখা মিলবে-বাবা-সন্তানের।

ছবি- সন্তানকোলে মরহুম ডাঃ নুরুল হক।