ফরিদুল আলম দেওয়ান , মহেশখালী :

তিন দিনের প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে মহেশখালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত অর্ধ শতাধিক কাঁচা বাড়ী ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। পানির তোড়ে ব্রীজ কার্লভাট ধ্বসে গিয়ে উপজেলার শাপলাপুর-গোরকঘাটা সড়ক ও গোরকঘাটা- জনতা বাজার নামক দুটি প্রধান সড়কই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৫০টির বেশী চিংড়ী প্রকল্প। অপর দিকে পান বরজের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
জানা যায়, উপজেলার গোরক ঘাটা- শাপলাপুর সড়কের মিঠাছড়ি নামক স্থানে একটি কালভার্ট ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ১৭ জুন বুধবার থেকে। গতকাল ১৮ জুন সকালে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানির তোড়ে গোরকঘাটা- জনতা বাজার নামক অপর প্রধান সড়কটিতে হোয়ানক ইউনিয়নের পদ্মপুকুর পাড়া নামক স্থানে নির্মাণাধীন ব্রীজের ডাইভার্সন রোড় ভেঙ্গে গিয়ে গোরকঘাটার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই সড়কে যাতায়তকারি যাত্রীরা। খবর পেয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বলেন জরুরী ভিত্তিতে সড়ক যোগাযোগ পুনস্থাপন করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার মাতারবাড়ী, কালারমারছড়া, শাপলাপুর ও হোয়ানক ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বেশ কিছু কাঁচা বাড়ীঘর প্লাবিত হয়েছে। হোয়ানকের পানিরছড়া ৯নং ওয়ার্ডের বারঘর পাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামের নিন্মাঞ্চলের অন্তত ৩০টি কাঁচা বাড়ীর দেওয়াল ধ্বসে পড়ে বিধস্থ হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলী জমি ও পান বরজসহ ক্ষেত খামার। বিধ্বস্থ বাড়ী ঘরের অধিবাসীরা খাদ্যের অভাবে পড়েছে। জরুরী ভাবে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া দরকার।
অপর দিকে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ইয়াকুব আলী জানান, মাতারবাড়ীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত ২০টি কাঁচা বাড়ী ঘরের দেওয়াল ধসে পড়েছে। ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় সেবা গ্রহীতারা যাতায়ত করতে পারছে না। তিনি মাতারবাড়ীর জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।